রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ
আজ ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন। দিবসটি উপলক্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অ্যাকাডেমিক ভবন ১-এ স্থাপিত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহিদ শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য মহোদয় বলেন, শেখ রাসেলের জন্মদিন অত্যন্ত আনন্দের হলেও এই দিনটিতেও আমরা শোকে মুহ্যমান হই। ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয় তখন বাদ যায়নি মাত্র দশ বছরের শিশু শেখ রাসেলও। বাবা-মা ও স্বজনদের রক্তাক্ত লাশের পাশ দিয়ে ঘুরিয়ে এনে অবশেষে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় শিশু রাসেলকে। তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বুঝতে পেরেছিল, রাসেলের ধমনিতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত। তাঁর নেতৃত্বে বাঙালিরা আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠতে পারে।
শেখ রাসেলকে নিয়ে গবেষণা প্রসঙ্গে রবি উপাচার্য বলেন, শিশু শেখ রাসেলের আচরণ, কথা ও অভিব্যক্তির যে বিবরণ পাওয়া যায়, তা বিশ্লেষণ করে শেখ রাসেলের মনস্তত্ত্বের স্বরূপ নির্ণয় করা সম্ভব।
শেখ রাসেলের আত্মদানকে স্মরণ করে উপাচার্য মহোদয় বলেন, শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের সবার বিচারের রায় এখনও কার্যকর করা যায়নি। তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা শপথ করছি, শেখ রাসেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদেরকে আমরা ঘৃণা করবো এবং হত্যাকারীদের সবার বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জারি রাখবো। উপাচার্য মহোদয় একইসঙ্গে, তরুণ প্রজন্মের দায়বদ্ধতার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।
উলেখ্য, শেখ রাসেলের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় সকাল ১১:০০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করেন। বিকাল ৩:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন১-এর লেকচার থিয়েটারে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। আলোচনা করেন, শিশু সাহিত্যিক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সাবেক পরিচালক আনজির লিটন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ।