মহানবীর কোরআন তিলাওয়াত : মহানবী (সা.) রমজান মাসে পবিত্র কোরআন বেশি পরিমাণ তিলাওয়াত করতেন এবং জিবরাইল (আ.)-কে তা শোনাতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রমজান মাসের প্রতি রাতে জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হতেন এবং তাঁরা উভয়েই পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করে একে অপরকে শোনাতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬)
প্রতিটি অক্ষরে সওয়াব : আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর তিলাওয়াত করল তার বিনিময়ে সে একটি নেকি পাবে, আর একটি নেকির বিনিময় হবে ১০ গুণ। এ কথা বলছি না যে আলিফ-লাম-মিম একটি অক্ষর, বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মিম একটি অক্ষর।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৯১০)
লোকসানমুক্ত ব্যবসা : কোরআন তিলাওয়াত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। এটিকে লোকসানমুক্ত ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রতিদান কখনো বিনষ্ট হয় না। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তারাই আশা করে এমন ব্যবসার যার কোনো ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদের আরো বেশি দেবেন, তিনি ক্ষমাশীল গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির, আয়াত : ২৯-৩০)
ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ যেন কোরআন স্পর্শ না করে।’ (তাবারানি, হাদিস : ১৩২১৭)
কিবলার দিকে ফেরা : কিবলার দিকে ফিরে কোরআন তিলাওয়াত করা উত্তম। উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন রাসুল (সা.) কিবলার দিকের দেয়ালে কাশি লেগে থাকা দেখতে পেলেন। তিনি তা নখ দিয়ে আঁচড়ে উঠালেন। এরপর তিনি উপস্থিত লোকদের বললেন, ‘তোমাদের কেউ নামাজ পড়লে সে যেন সামনের দিকে থুথু না ফেলে। কারণ কেউ যখন নামাজ পড়ে তখন আল্লাহ তার সামনে থাকেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৪০৬)
উপযুক্ত স্থান নির্বাচন : তিলাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর কথা অনুধাবন করা এবং বাস্তব জীবনে তা অনুসরণ করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা। তাই এমন স্থানে তিলাওয়াত করা উচিত, যেখানে স্থিরভাবে চিন্তা ও গবেষণা করা যায়। তাই মসজিদ তিলাওয়াতের সর্বোত্তম স্থান হিসেবে বিবেচিত। কারণ সেখানে আল্লাহর বিশেষ রহম অবতীর্ণ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো দল আল্লাহর ঘরে একত্র হয়ে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করলে এবং তা নিয়ে আলোচনা করলে তাদের ওপর প্রশান্তি অবতীর্ণ হয় এবং তাদের রহমতের ফেরেশতারা ঘিরে রাখে। আল্লাহ ফেরেশতাদের সঙ্গে তাদের নিয়ে আলোচনা করেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৯)
তিলাওয়াতের উত্তম সময় : শেষ রাত কোরআন তিলাওয়াতের সর্বোত্তম সময়। তাই এই সময়ে মন-মস্তিষ্ক শান্ত ও পবিত্র থাকে। চিন্তা-ভাবনায় প্রখরতা তৈরি হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনার ওপর ভারী কথা অবতীর্ণ করেছি। অবশ্যই রাতের জাগা এমন কাজ, যার মাধ্যমে শক্তভাবে প্রবৃত্তির দমন হয় এবং উত্তমভাবে কথা বলা হয়।’ (সুরা মুজজাম্মিল, আয়াত : ৬)
ইখলাসের সঙ্গে তিলাওয়াত : কোরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা উচিত। কিয়ামতের দিন লোক দেখানো ইবাদতের জন্য শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন প্রথমে তিন ব্যক্তির বিচার করা হবে। (তাদের একজন) ওই ব্যক্তি যে ইলম শিখেছে, মানুষকে তা শিখিয়েছে এবং কোরআন পড়েছে। তাকে আনা হবে এবং আল্লাহ তাঁর সব নেয়ামত সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেবেন। সে তা চিনবে। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, এসব নেয়ামত পেয়ে কী আমল করেছ। সে বলবে, জ্ঞানার্জন করেছি এবং মানুষকে তা শিখিয়েছি। আর আপনার সন্তুষ্টির জন্য কোরআন পড়েছি। তিনি বলবেন, মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এ জন্য জ্ঞানার্জন করেছ যেন তোমাকে আলেম বলা হয়। এ জন্য কোরআন পড়েছ যেন তোমাকে কারি বলা হয়। এসব তো বলা হয়েছে। অতঃপর তার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হবে। তখন তাকে মুখ ভরে টেনে নেওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯০৫)
আয়াত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা : কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ আয়াত নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করা কর্বত্য। ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা কল্যাণময় কিতাব, যা আমি আপনার ওপর অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতগুলো অনুধাবন করে এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা সাদ, আয়াত : ২৯)
তিলাওয়াতের সময় কান্না করা : কোরআন তিলাওয়াতের সময় করা সুন্নত। কোরআনে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কাছে দয়াময়ের আয়াত তিলাওয়াত করা হলে কান্না করতে করতে তারা সিজদায় লুটে পড়ত।’ (সুরা মারয়াম, আয়াত : ৫৮)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) আমাকে বলেছেন, আমাকে তুমি তিলাওয়াত করে শোনাও। বললাম, আমি আপনাকে তিলাওয়াত শোনাব, অথচ আপনার ওপরই এটি অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বলেন, আমি অন্যের তিলাওয়াত শুনতে পছন্দ করি। অতঃপর আমি তাঁকে সুরা নিসা পড়ে শোনাতে লাগলাম। যখন আমি সুরা নিসার ৪১ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করলাম, তিনি বললেন, থামো, যথেষ্ট হয়েছে। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম তাঁর চোখ থেকে অঝোর ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। (বুখারি, হাদিস : ৫০৫০)
মনোযোগ দিয়ে তিলাওয়াত শোনা : পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের সময় মনোযোগ দিয়ে শুনতে বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে তা শোনো এবং নিশ্চুপ থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ২০৪)
মহানবীর কোরআন তিলাওয়াত : মহানবী (সা.) রমজান মাসে পবিত্র কোরআন বেশি পরিমাণ তিলাওয়াত করতেন এবং জিবরাইল (আ.)-কে তা শোনাতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রমজান মাসের প্রতি রাতে জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হতেন এবং তাঁরা উভয়েই পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করে একে অপরকে শোনাতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬)
প্রতিটি অক্ষরে সওয়াব : আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর তিলাওয়াত করল তার বিনিময়ে সে একটি নেকি পাবে, আর একটি নেকির বিনিময় হবে ১০ গুণ। এ কথা বলছি না যে আলিফ-লাম-মিম একটি অক্ষর, বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মিম একটি অক্ষর।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৯১০)
লোকসানমুক্ত ব্যবসা : কোরআন তিলাওয়াত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। এটিকে লোকসানমুক্ত ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রতিদান কখনো বিনষ্ট হয় না। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তারাই আশা করে এমন ব্যবসার যার কোনো ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদের আরো বেশি দেবেন, তিনি ক্ষমাশীল গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির, আয়াত : ২৯-৩০)
ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ যেন কোরআন স্পর্শ না করে।’ (তাবারানি, হাদিস : ১৩২১৭)
কিবলার দিকে ফেরা : কিবলার দিকে ফিরে কোরআন তিলাওয়াত করা উত্তম। উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন রাসুল (সা.) কিবলার দিকের দেয়ালে কাশি লেগে থাকা দেখতে পেলেন। তিনি তা নখ দিয়ে আঁচড়ে উঠালেন। এরপর তিনি উপস্থিত লোকদের বললেন, ‘তোমাদের কেউ নামাজ পড়লে সে যেন সামনের দিকে থুথু না ফেলে। কারণ কেউ যখন নামাজ পড়ে তখন আল্লাহ তার সামনে থাকেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৪০৬)
উপযুক্ত স্থান নির্বাচন : তিলাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর কথা অনুধাবন করা এবং বাস্তব জীবনে তা অনুসরণ করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা। তাই এমন স্থানে তিলাওয়াত করা উচিত, যেখানে স্থিরভাবে চিন্তা ও গবেষণা করা যায়। তাই মসজিদ তিলাওয়াতের সর্বোত্তম স্থান হিসেবে বিবেচিত। কারণ সেখানে আল্লাহর বিশেষ রহম অবতীর্ণ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো দল আল্লাহর ঘরে একত্র হয়ে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করলে এবং তা নিয়ে আলোচনা করলে তাদের ওপর প্রশান্তি অবতীর্ণ হয় এবং তাদের রহমতের ফেরেশতারা ঘিরে রাখে। আল্লাহ ফেরেশতাদের সঙ্গে তাদের নিয়ে আলোচনা করেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৯)
তিলাওয়াতের উত্তম সময় : শেষ রাত কোরআন তিলাওয়াতের সর্বোত্তম সময়। তাই এই সময়ে মন-মস্তিষ্ক শান্ত ও পবিত্র থাকে। চিন্তা-ভাবনায় প্রখরতা তৈরি হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনার ওপর ভারী কথা অবতীর্ণ করেছি। অবশ্যই রাতের জাগা এমন কাজ, যার মাধ্যমে শক্তভাবে প্রবৃত্তির দমন হয় এবং উত্তমভাবে কথা বলা হয়।’ (সুরা মুজজাম্মিল, আয়াত : ৬)
ইখলাসের সঙ্গে তিলাওয়াত : কোরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা উচিত। কিয়ামতের দিন লোক দেখানো ইবাদতের জন্য শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন প্রথমে তিন ব্যক্তির বিচার করা হবে। (তাদের একজন) ওই ব্যক্তি যে ইলম শিখেছে, মানুষকে তা শিখিয়েছে এবং কোরআন পড়েছে। তাকে আনা হবে এবং আল্লাহ তাঁর সব নেয়ামত সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেবেন। সে তা চিনবে। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, এসব নেয়ামত পেয়ে কী আমল করেছ। সে বলবে, জ্ঞানার্জন করেছি এবং মানুষকে তা শিখিয়েছি। আর আপনার সন্তুষ্টির জন্য কোরআন পড়েছি। তিনি বলবেন, মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এ জন্য জ্ঞানার্জন করেছ যেন তোমাকে আলেম বলা হয়। এ জন্য কোরআন পড়েছ যেন তোমাকে কারি বলা হয়। এসব তো বলা হয়েছে। অতঃপর তার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হবে। তখন তাকে মুখ ভরে টেনে নেওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯০৫)
আয়াত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা : কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ আয়াত নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করা কর্বত্য। ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা কল্যাণময় কিতাব, যা আমি আপনার ওপর অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতগুলো অনুধাবন করে এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা সাদ, আয়াত : ২৯)
তিলাওয়াতের সময় কান্না করা : কোরআন তিলাওয়াতের সময় করা সুন্নত। কোরআনে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কাছে দয়াময়ের আয়াত তিলাওয়াত করা হলে কান্না করতে করতে তারা সিজদায় লুটে পড়ত।’ (সুরা মারয়াম, আয়াত : ৫৮)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) আমাকে বলেছেন, আমাকে তুমি তিলাওয়াত করে শোনাও। বললাম, আমি আপনাকে তিলাওয়াত শোনাব, অথচ আপনার ওপরই এটি অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বলেন, আমি অন্যের তিলাওয়াত শুনতে পছন্দ করি। অতঃপর আমি তাঁকে সুরা নিসা পড়ে শোনাতে লাগলাম। যখন আমি সুরা নিসার ৪১ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করলাম, তিনি বললেন, থামো, যথেষ্ট হয়েছে। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম তাঁর চোখ থেকে অঝোর ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। (বুখারি, হাদিস : ৫০৫০)
মনোযোগ দিয়ে তিলাওয়াত শোনা : পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের সময় মনোযোগ দিয়ে শুনতে বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে তা শোনো এবং নিশ্চুপ থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ২০৪)
মহানবীর কোরআন তিলাওয়াত : মহানবী (সা.) রমজান মাসে পবিত্র কোরআন বেশি পরিমাণ তিলাওয়াত করতেন এবং জিবরাইল (আ.)-কে তা শোনাতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রমজান মাসের প্রতি রাতে জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হতেন এবং তাঁরা উভয়েই পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করে একে অপরকে শোনাতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬)
প্রতিটি অক্ষরে সওয়াব : আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর তিলাওয়াত করল তার বিনিময়ে সে একটি নেকি পাবে, আর একটি নেকির বিনিময় হবে ১০ গুণ। এ কথা বলছি না যে আলিফ-লাম-মিম একটি অক্ষর, বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মিম একটি অক্ষর।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৯১০)
লোকসানমুক্ত ব্যবসা : কোরআন তিলাওয়াত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। এটিকে লোকসানমুক্ত ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রতিদান কখনো বিনষ্ট হয় না। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তারাই আশা করে এমন ব্যবসার যার কোনো ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদের আরো বেশি দেবেন, তিনি ক্ষমাশীল গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির, আয়াত : ২৯-৩০)
ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ যেন কোরআন স্পর্শ না করে।’ (তাবারানি, হাদিস : ১৩২১৭)
কিবলার দিকে ফেরা : কিবলার দিকে ফিরে কোরআন তিলাওয়াত করা উত্তম। উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন রাসুল (সা.) কিবলার দিকের দেয়ালে কাশি লেগে থাকা দেখতে পেলেন। তিনি তা নখ দিয়ে আঁচড়ে উঠালেন। এরপর তিনি উপস্থিত লোকদের বললেন, ‘তোমাদের কেউ নামাজ পড়লে সে যেন সামনের দিকে থুথু না ফেলে। কারণ কেউ যখন নামাজ পড়ে তখন আল্লাহ তার সামনে থাকেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৪০৬)
উপযুক্ত স্থান নির্বাচন : তিলাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর কথা অনুধাবন করা এবং বাস্তব জীবনে তা অনুসরণ করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা। তাই এমন স্থানে তিলাওয়াত করা উচিত, যেখানে স্থিরভাবে চিন্তা ও গবেষণা করা যায়। তাই মসজিদ তিলাওয়াতের সর্বোত্তম স্থান হিসেবে বিবেচিত। কারণ সেখানে আল্লাহর বিশেষ রহম অবতীর্ণ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো দল আল্লাহর ঘরে একত্র হয়ে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করলে এবং তা নিয়ে আলোচনা করলে তাদের ওপর প্রশান্তি অবতীর্ণ হয় এবং তাদের রহমতের ফেরেশতারা ঘিরে রাখে। আল্লাহ ফেরেশতাদের সঙ্গে তাদের নিয়ে আলোচনা করেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৯)
তিলাওয়াতের উত্তম সময় : শেষ রাত কোরআন তিলাওয়াতের সর্বোত্তম সময়। তাই এই সময়ে মন-মস্তিষ্ক শান্ত ও পবিত্র থাকে। চিন্তা-ভাবনায় প্রখরতা তৈরি হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনার ওপর ভারী কথা অবতীর্ণ করেছি। অবশ্যই রাতের জাগা এমন কাজ, যার মাধ্যমে শক্তভাবে প্রবৃত্তির দমন হয় এবং উত্তমভাবে কথা বলা হয়।’ (সুরা মুজজাম্মিল, আয়াত : ৬)
ইখলাসের সঙ্গে তিলাওয়াত : কোরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা উচিত। কিয়ামতের দিন লোক দেখানো ইবাদতের জন্য শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন প্রথমে তিন ব্যক্তির বিচার করা হবে। (তাদের একজন) ওই ব্যক্তি যে ইলম শিখেছে, মানুষকে তা শিখিয়েছে এবং কোরআন পড়েছে। তাকে আনা হবে এবং আল্লাহ তাঁর সব নেয়ামত সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেবেন। সে তা চিনবে। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, এসব নেয়ামত পেয়ে কী আমল করেছ। সে বলবে, জ্ঞানার্জন করেছি এবং মানুষকে তা শিখিয়েছি। আর আপনার সন্তুষ্টির জন্য কোরআন পড়েছি। তিনি বলবেন, মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এ জন্য জ্ঞানার্জন করেছ যেন তোমাকে আলেম বলা হয়। এ জন্য কোরআন পড়েছ যেন তোমাকে কারি বলা হয়। এসব তো বলা হয়েছে। অতঃপর তার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হবে। তখন তাকে মুখ ভরে টেনে নেওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯০৫)
আয়াত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা : কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ আয়াত নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করা কর্বত্য। ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা কল্যাণময় কিতাব, যা আমি আপনার ওপর অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতগুলো অনুধাবন করে এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা সাদ, আয়াত : ২৯)
তিলাওয়াতের সময় কান্না করা : কোরআন তিলাওয়াতের সময় করা সুন্নত। কোরআনে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কাছে দয়াময়ের আয়াত তিলাওয়াত করা হলে কান্না করতে করতে তারা সিজদায় লুটে পড়ত।’ (সুরা মারয়াম, আয়াত : ৫৮)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) আমাকে বলেছেন, আমাকে তুমি তিলাওয়াত করে শোনাও। বললাম, আমি আপনাকে তিলাওয়াত শোনাব, অথচ আপনার ওপরই এটি অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বলেন, আমি অন্যের তিলাওয়াত শুনতে পছন্দ করি। অতঃপর আমি তাঁকে সুরা নিসা পড়ে শোনাতে লাগলাম। যখন আমি সুরা নিসার ৪১ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করলাম, তিনি বললেন, থামো, যথেষ্ট হয়েছে। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম তাঁর চোখ থেকে অঝোর ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। (বুখারি, হাদিস : ৫০৫০)
মনোযোগ দিয়ে তিলাওয়াত শোনা : পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের সময় মনোযোগ দিয়ে শুনতে বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে তা শোনো এবং নিশ্চুপ থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ২০৪)
মহানবীর কোরআন তিলাওয়াত : মহানবী (সা.) রমজান মাসে পবিত্র কোরআন বেশি পরিমাণ তিলাওয়াত করতেন এবং জিবরাইল (আ.)-কে তা শোনাতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রমজান মাসের প্রতি রাতে জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হতেন এবং তাঁরা উভয়েই পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করে একে অপরকে শোনাতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬)
প্রতিটি অক্ষরে সওয়াব : আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর তিলাওয়াত করল তার বিনিময়ে সে একটি নেকি পাবে, আর একটি নেকির বিনিময় হবে ১০ গুণ। এ কথা বলছি না যে আলিফ-লাম-মিম একটি অক্ষর, বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মিম একটি অক্ষর।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৯১০)
লোকসানমুক্ত ব্যবসা : কোরআন তিলাওয়াত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। এটিকে লোকসানমুক্ত ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রতিদান কখনো বিনষ্ট হয় না। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তারাই আশা করে এমন ব্যবসার যার কোনো ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদের আরো বেশি দেবেন, তিনি ক্ষমাশীল গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির, আয়াত : ২৯-৩০)
ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ যেন কোরআন স্পর্শ না করে।’ (তাবারানি, হাদিস : ১৩২১৭)
কিবলার দিকে ফেরা : কিবলার দিকে ফিরে কোরআন তিলাওয়াত করা উত্তম। উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন রাসুল (সা.) কিবলার দিকের দেয়ালে কাশি লেগে থাকা দেখতে পেলেন। তিনি তা নখ দিয়ে আঁচড়ে উঠালেন। এরপর তিনি উপস্থিত লোকদের বললেন, ‘তোমাদের কেউ নামাজ পড়লে সে যেন সামনের দিকে থুথু না ফেলে। কারণ কেউ যখন নামাজ পড়ে তখন আল্লাহ তার সামনে থাকেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৪০৬)
উপযুক্ত স্থান নির্বাচন : তিলাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর কথা অনুধাবন করা এবং বাস্তব জীবনে তা অনুসরণ করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা। তাই এমন স্থানে তিলাওয়াত করা উচিত, যেখানে স্থিরভাবে চিন্তা ও গবেষণা করা যায়। তাই মসজিদ তিলাওয়াতের সর্বোত্তম স্থান হিসেবে বিবেচিত। কারণ সেখানে আল্লাহর বিশেষ রহম অবতীর্ণ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো দল আল্লাহর ঘরে একত্র হয়ে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করলে এবং তা নিয়ে আলোচনা করলে তাদের ওপর প্রশান্তি অবতীর্ণ হয় এবং তাদের রহমতের ফেরেশতারা ঘিরে রাখে। আল্লাহ ফেরেশতাদের সঙ্গে তাদের নিয়ে আলোচনা করেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৯)
তিলাওয়াতের উত্তম সময় : শেষ রাত কোরআন তিলাওয়াতের সর্বোত্তম সময়। তাই এই সময়ে মন-মস্তিষ্ক শান্ত ও পবিত্র থাকে। চিন্তা-ভাবনায় প্রখরতা তৈরি হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনার ওপর ভারী কথা অবতীর্ণ করেছি। অবশ্যই রাতের জাগা এমন কাজ, যার মাধ্যমে শক্তভাবে প্রবৃত্তির দমন হয় এবং উত্তমভাবে কথা বলা হয়।’ (সুরা মুজজাম্মিল, আয়াত : ৬)
ইখলাসের সঙ্গে তিলাওয়াত : কোরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা উচিত। কিয়ামতের দিন লোক দেখানো ইবাদতের জন্য শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন প্রথমে তিন ব্যক্তির বিচার করা হবে। (তাদের একজন) ওই ব্যক্তি যে ইলম শিখেছে, মানুষকে তা শিখিয়েছে এবং কোরআন পড়েছে। তাকে আনা হবে এবং আল্লাহ তাঁর সব নেয়ামত সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেবেন। সে তা চিনবে। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, এসব নেয়ামত পেয়ে কী আমল করেছ। সে বলবে, জ্ঞানার্জন করেছি এবং মানুষকে তা শিখিয়েছি। আর আপনার সন্তুষ্টির জন্য কোরআন পড়েছি। তিনি বলবেন, মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এ জন্য জ্ঞানার্জন করেছ যেন তোমাকে আলেম বলা হয়। এ জন্য কোরআন পড়েছ যেন তোমাকে কারি বলা হয়। এসব তো বলা হয়েছে। অতঃপর তার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হবে। তখন তাকে মুখ ভরে টেনে নেওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯০৫)
আয়াত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা : কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ আয়াত নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করা কর্বত্য। ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা কল্যাণময় কিতাব, যা আমি আপনার ওপর অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতগুলো অনুধাবন করে এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা সাদ, আয়াত : ২৯)
তিলাওয়াতের সময় কান্না করা : কোরআন তিলাওয়াতের সময় করা সুন্নত। কোরআনে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কাছে দয়াময়ের আয়াত তিলাওয়াত করা হলে কান্না করতে করতে তারা সিজদায় লুটে পড়ত।’ (সুরা মারয়াম, আয়াত : ৫৮)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) আমাকে বলেছেন, আমাকে তুমি তিলাওয়াত করে শোনাও। বললাম, আমি আপনাকে তিলাওয়াত শোনাব, অথচ আপনার ওপরই এটি অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বলেন, আমি অন্যের তিলাওয়াত শুনতে পছন্দ করি। অতঃপর আমি তাঁকে সুরা নিসা পড়ে শোনাতে লাগলাম। যখন আমি সুরা নিসার ৪১ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করলাম, তিনি বললেন, থামো, যথেষ্ট হয়েছে। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম তাঁর চোখ থেকে অঝোর ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। (বুখারি, হাদিস : ৫০৫০)
মনোযোগ দিয়ে তিলাওয়াত শোনা : পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের সময় মনোযোগ দিয়ে শুনতে বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে তা শোনো এবং নিশ্চুপ থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ২০৪)