লোকমান আনছারী রাউজান প্রতিনিধি দল:
বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ নামে পরিচিত হালদা নদীর মা মাছ সহ জীববৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীতে মাছ শিকার ও যান্ত্রিক নৌযান চলাচল নিষ্দ্বি করা হয় । সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের পশ্চিম আবুল খীল এলাকায় হালদা নদীর তীরে গড়ে উঠা শান্তি ব্রীকসে ইট তৈয়ারীর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে হালদা নদীর তীরে জেগে ওঠা চরকাটা মাটি । হালদা নদীর চর ও তীর কেটে মাটি যান্ত্রিক নৌযান ভর্তি করে হালদা নদী দিয়ে শান্তি ব্রীকসে এনে ইট তৈয়ারীর জন্য স্তুপ করা হচ্ছে ।১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রিদুয়ানুল ইসলাম রাউজান থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় হালদা নদীর পাড়ে গড়ে উঠা শান্তি ব্রীকসে অভিযান করেন । অভিযান চলাকালে শান্তি ব্রীকসে ইট তৈয়ারীর জন্য হালদা নদীর চর কাটা ও তীর কাটা মাটি স্তুপ করার দৃশ্য পরির্দশন করেন । অভিযান চলাকালে শান্তি ব্রীক ইটের ভাটার পাশে পুরাতন হালদা নদী ও হালদা নদীতে মাটি ভর্তি কয়েকটি যান্ত্রিক নৌযান ফেলে নৌযানের চালক ও শ্রমিকেরা পালিয়ে যায় । শান্তি ব্রীকসের মালিক প্রিয়তোস বড়ুয়ার বড় ভাই স্মৃতিময় বড়ুয়া প্রকাশ মনু বড়ুয়ার কাছ থেকে ২লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। শান্তি ব্রীকসের মালিককে আর কোন সময়ে হালদা নদীর চর ও হালদা নদীর তীর থেকে মাটি কাটা যাবেনা বলে নির্দেশ দেয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার । হালদা নদীর তীরে রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নের পশ্চিম আবুর খীল এলাকায় শান্তি ব্রীকস, হারপাড়া এলাকায় আজমীর ব্রীকস, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী পাড়া এলাকায় এ আলী ব্রীকস নামে ইট ভাটা রয়েছে। ইঠ ভাটা গুলোতে ইট তৈয়ারীর কাজে হালদা নদীতে জেগে উঠা চর কাটা মাটি যান্ত্রিক নৌযান করে এনে ব্যবহার করা হচ্ছে । ইট ভাটার কারনে হালদা নদীর মা মাছ জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে । অভিযানে নেতৃত্বদানকারী রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার বলেন, হালদা নদীর চর কেটে চরকাটা মাটি হালদা নদী দিয়ে যান্ত্রিক নৌযানে পরিবহন ও মাটি কাটার অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় শান্তি ব্রীক থেকে ২লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে । পুনরায় হালদা নদীর চর ও তীর থেকে মাটি কাটা হলে শান্তি ব্রীকস বন্ধ করে দেওয়া হবে জানান তিনি।