রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি।
রাঙ্গুনিয়ায় সামান্য গরু সবজি ক্ষেত খাওয়া নিয়ে দুই দফায় মারামারি ও ছুরিকাঘাতে দুই সহোদরকে খুন, এ ঘটনায় আহত ৫ জনের মধ্যে ইদ্রিস(৫০) নামের একব্যক্তির অবস্থা খুবই আশংকাজনক।
শুক্রবার(১৬ডিসেম্বর) বিকাল ২টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের উত্তর পদুয়া পশ্চিম কুরুশিয়া ৬নং ওয়ার্ড়ে এ-ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উত্তর পদুয়া পশ্চিম কুরুশিয়া এলাকার কৃষক জহির আহমদের বড় ছেলে মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন(২০), ছোট ছেলে মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন(১৮)।
আর আহতরা হলেন- নিহতদের ফুফা মুহাম্মদ ইদ্রিস(৫০), ফুফাতো ভাই মুহাম্মদ বাদশা(১৮) ও সালাউদ্দিন(২৫), এবং পাশ্ববর্তী বাড়ির মুহাম্মদ নুরুল কবিরের ছেলে রানা(১৮)।
নিহতদের পিতা জহির আহমদ বলেন- আমার বড় ছেলে বাড়ির পাশে একটি সবজী বাগান করেন। সেখানে সকাল ১০টায় গিয়ে দেখে পাশের বাড়ির শফির গরু ক্ষেত খাচ্ছে। এবিষয়ে শিবছড়ি নামক স্থানে শফির সাথে কথা-কাটাকাটি হলে তার ছেলে সাইফুল ও খোরশেদের সাথে মারামারি হয়। আর সেখানে আমার ছেলের আঘাতে শফি ওরফে শইফফে সামান্য আহত হলে আমার ছেলের মা সুলতানা বেগম তাকে স্থানীয় ডাক্তার থেকে চিকিৎসা করে ঘরে পাঠিয়ে দেন এবং ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল । হঠাৎ বিকাল ২টার দিকে মাওলানা ইসমাইলের বাড়ির পাশে আমার ছেলেদের অবস্থা জেনে পেছন থেকে শফি ও তার ছেলে সাইফুল, খোরশেদ ও মোরশের আমার ছেলেদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করেন। সেখানে শফি ওরফে শইফফের ছেলে মোরশেদ পাশের বাড়ির টিইন্নে চৌকিদারের ছেলে নুরুল আজিম(৩২)থেকে ছুরি নিয়ে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করেন। হামলার সময় আমার শালির জামাই ও তার ছেলেরা প্রতিরোধ করতে গেলে তাদেরকেও আঘাত করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবচার বলেন- গরু সবজি ক্ষেত খাওয়া নিয়ে সকালে একবার মারামারি হয়। পরে বিকাল ২টার দিকে জালাল উদ্দিন ও তার ভাই কামাল উদ্দিনকে শফি ও তার ছেলেরা ছুরি দিয়ে আঘাত করেন এবং এঘটনা দেখে এগিয়ে আসা তাদের ফুফা ও ফুফাতো ভাইদেরকেও আঘাত করেন। পরে আহতেদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন-বিকাল ৩টার দিকে আগত ৬জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে জালাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন নামের দুজন হাসপালে নিয়ে আসার পূর্বেই মারা যায়। আর আগত ৪জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতদের মধ্যে ইদ্রিস নামের এক ব্যক্তির অবস্থা খুবই আশংকাজনক।
এ বিষয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শফি ও তার ছেলে খোরশেদকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে।