রাজস্থলী থানার উদ্যােগে বিশেষ কার্যক্রম আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ
জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের সেবা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রাঙামাটির রাজস্থলীতে বিশেষ কার্যক্রম আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার রাঙামাটি রাজস্থলী থানার উদ্যোগে এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্টিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাজস্থলী সার্কেল নুরুল আমিন, থানা অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাষ্টার খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মঞো মারমা, সহ সভাপতি আবুল হাসেম মেম্বার, জামাত ইসলামের সভাপতি মৌলনা ফরিদ আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, গাইন্দ্যা ইউপি সদস্য নুরুল আলম, ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের সদস্য উদয় তঞ্চঙ্গ্যা, মহিলা দলের সভানেত্রী প্রেমা তালুকদার সহ বিভিন্ন এলাকা হতে হেডম্যান, কার্বারী সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং ইলেকট্রনিক ও ফ্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার নানা ঘটনা ঘটছে। ভুক্তভোগীরা অনেক সময় সামাজিক লজ্জা, ভয়ের সংস্কৃতি বা তথ্যের অভাবে যথাযথ আইনি ও মানসিক সহায়তা পান না। বাংলাদেশ পুলিশের ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার (VSC) ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা, কাউন্সেলিং, নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের সেবা দিয়ে থাকে।
রাজস্থলী থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, সমাজ থেকে জেন্ডার বৈষম্য ও সহিংসতা দূর করতে হলে পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিটি স্তরে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। পুলিশ শুধু অপরাধ দমনই নয়, বরং প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জনগণকে সচেতন করাতেও কাজ করছে।
সচেতনতামূলক কার্যক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, নারী নেত্রী, শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো এবং প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে এ সেবা সম্পর্কে জানাতে মাঠপর্যায়ে আরও উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, ভুক্তভোগীরা যেন পুলিশের কাছে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পান এবং সঠিক সময়ে আইনি ও মানবিক সহায়তা পান এই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ পুলিশ ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ পুলিশ রাজস্থলী থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের প্রত্যেকটি থানার মতো রাঙামাটির রাজস্থলী থানা থেকেও নির্যাতিত নারী-শিশুরা তাৎক্ষণিক আইনি সহায়তা ও পরামর্শ পেতে পারবেন। এ ছাড়া হেল্প লাইন নম্বর ও স্থানীয় পর্যায়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে।