প্রথমবার একটি ফাঁস হওয়া নথিতে জানা গেছে ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু পরবর্তী ঘটনা পরম্পরা কি হতে চলেছে। যে বিপুল কর্মযজ্ঞ তার মৃত্যুর পর হতে চলেছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’ এবং দিনটিকে ডি-ডে বলে অভিহিত করা হবে।
ফাঁস হওয়া রিপোর্টে দেখা গেছে যে রাণীর মৃত্যুর ১০ দিন পর তার মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হবে। এর মাঝে তার ছেলে এবং সিংহাসনের দাবিদার প্রিন্স চার্লস ব্রিটেনে সফর করবেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দুটি হাউসে রাণীর দেহ শায়িত থাকবে তিনদিন। ব্রিটেনের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সরকারি তরফে মনে করা হচ্ছে যে রাণীর মৃত্যুর খবরে লন্ডন শহরে মানুষের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে শহরে যানজট হওয়ার এমনকি খাদ্য সঙ্কটেরও আশঙ্কা রয়েছে।
লন্ডন শহর জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার এক ব্যাপক পরিকল্পনা করা হয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এবং রাজপরিবার এই বিষয়ে সহমত হয়েছে যে রাণীর শেষকৃত্যের দিনটিতে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। এই দিনটিতে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।রাণী
দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯৬ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার মারা গেছেন।
বাকিংহাম প্যালেস এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে রাণীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১০ দিনের জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাণী আজ বিকেলে বালমোরাল ক্যাসেলে মারা যান।
৯৬ বছর বয়সী রাণী গত বছরের অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন যা তাকে হাঁটা এবং দাঁড়াতে অসুবিধায় ফেলেছিল।
বুধবার, তিনি বিশ্রামের কথা বলে তার সিনিয়র রাজনৈতিক উপদেষ্টাদের সাথে একটি পরিকল্পিত বৈঠক বাতিল করেন।
আগের দিন তিনি তার স্কটিশ হাইল্যান্ডস রিট্রিট, বালমোরালে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিদায় এবং তার উত্তরসূরি লিজ ট্রাসের নিয়োগের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আজ সকালে রাণীর স্বাস্থের অবস্থা পর্যালোচনার পর তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তাকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।’
এ খবরে প্রধানমন্ত্রী লিস ট্রাস এক টুইটে বলেছেন, ‘বাকিংহাম প্যালেসের খবরে পুরো দেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
সূত্র : ডেইলি মেইল, দ্য উইক।