আনোয়ারুল ইসলাম,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি।। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে গত ২৭ জুলাই বাচোর ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় থানায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ৮ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এখন মামলার ভয় দেখিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলছে পুলিশের পরিচয়ে নীরব চাঁদাবাজি। মোবাইলে থানার ওসির পরিচয় দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে এ চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এলাকাছাড়া নিরীহ মানুষের উপর এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। এলাকায় বর্তমানে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে।
এদিকে পুলিশ প্রশাসন বলছে তদন্ত ছাড়া কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে না। চাঁদাবাজির শিকার ওই ইউনিয়নের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য বাবুল হোসেনকে ফোনে মামলার ভয় দেখিয়ে ওসি পরিচয়ে গতকাল সোমবার ১ আগস্ট হুমকি দিয়ে বলে যে, ব্যাটা মেম্বার হয়ে বসে আছিস? মামলা থেকে বাঁচতে চাইলে এক্ষুণি বিকাশে টাকা দে নাহলে তোকেও অজ্ঞাতনামা মামলার আসামী বানাবো।
মামলা থেকে রেহাই পেতে বাবুল ২৬ হাজার টাকা দেন বিকাশে। একইভাবে খড়রা গ্রামের হাকিমের পুত্র রুহুলের কাছেও ওসি পরিচয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করা হয় । আলমের কাছেও মামলার ভয় দেখিয়ে ০১৭৭৩৭১৮০৪১ নং মোবাইলে ফোন দিয়ে ০১৭৬৪৭৫৯১৩৫ নং বিকাশে ১০ হাজার টাকা দাবী করা হয় ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত ওসি আব্দুল লতিফ সেখ বলেন, ওসি’র পরিচয়ে একটি প্রতারকচক্র বিভিন্ন ভাবে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে। আমরা নাম্বার গুলি যাচাই করার চেষ্টা করছি।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, ইউপি সদস্য বাবুল হোসেনের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ওসি পরিচয়ে প্রতারক চক্রকে খুব শীঘ্র আইনের আওতায় আনা হবে।