আনোয়ারুল ইসলাম,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি।।দীর্ঘ ১২ বছরেও নিয়মিত কমিটি না থাকায় ও অনেক নেতাকর্মীর অনুপস্থিতির কারনে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বুধবার ৪ জানুয়ারি সাদামাটাভাবে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। এ উপলক্ষে এদিন সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃস্থানীয় কিছু সদস্য গুটিকয়েক ছাত্রলীগের সদস্য আ’লীগ .লীগ কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এ সময় উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সহ- অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামালউদ্দিন শান্তু, ছাত্রলীগ নেতা তামীম হোসেন, আতিকুর রহমান টিটু, আরাফাত ফরিদী হিমেল, আলেক সরকার, ফারাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
উপজেলা আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আ’লীগের একটি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। আমরা সবসময় তাদের সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। কিন্তু জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জটিলতার কারণে এতদিনেও এখানে কমিটি হয়নি। উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমরা সত্যিই লজ্জিত। আমি জেলা আ.লীগের প্রতিটি দলীয় মিটিংয়ে এ কমিটির কথা বলেছি। বিশেষ করে আ’লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, জেলা আ’লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে এ কমিটির জন্য কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলতে বলেছি। তিনি আরো বলেন দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় আমরা দলীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
উপজেলা আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক বলেন, আমি বিশেষ কাজে ঢাকায় থাকার পরেও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের জন্য সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের সাথে কথা বলেছিলাম। আসলে দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগ করে আসা নেতাকর্মীদের অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। আমি থাকলে হয়তো সকলের সাথে সমন্বয় করে
উৎসবমূখর পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে পারতাম। আমি নিজেই জেলা আ’লীগ ও ছাত্রলীগের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। অজ্ঞাত কারণেই তারা কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এটি আমাদের চরম ব্যর্থতা।
তবে আগামী ৬ জানুয়ারি যানযটের উপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দেশব্যাপী একটি কর্মসূচি রয়েছে। রাণীশংকৈল ছাত্রলীগ যেন সেটি সাড়ম্বরে পালন করতে পারে সে ব্যাপারে আমি সার্বিক সহযোগিতা করবো।
এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি সেলিনা জাহান লিটা বলেন, আমি বিশেষ রাজনৈতিক কাজে ঢাকায় আছি তবে এরমধ্যে রাণীশংকৈলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের ব্যাপারে ছাত্রনেতাদের
সঙ্গে কথা বলেছি। আর, ইতোপূর্বে এবং সম্প্রতি উপজেলা কমিটির বিষয়ে জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে আমি কথা বলেছি।
পরবর্তীতে আরো কথা বলে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি এই কমিটি গঠন করা হবে।
দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় কমিটি কেন করা হয়নি এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার ৬ মাসের মাথায় কমিটির জন্য উপজেলা আ’লীগ ও জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করে প্রায় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন সামনে আসায় তা আর করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
আমাদের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে কমিটি না হওয়া উপজেলাগুলোতে দুএকদিনের মধ্যেই চিঠি প্রেরণ করা হবে।