অনেক রাত্রে ঘুমানো হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুন্নাহ পরিপন্থি কাজ। আল্লাহর বান্দা বিনা প্রয়োজনে কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে অনেক রাত জাগবে না। তাই যারা অনেক রাতে ঘুমান তারা সুন্নাহ পরিপন্থি কাজ করে থাকেন।
আল্লাহ তাআলা রাতকে বিশ্রামের উপযোগী করেই বানিয়েছেন। মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের বিশ্রামের জন্য নিদ্রা দিয়েছি, তোমাদের জন্য রাত্রিকে করেছি আবরণস্বরূপ আর দিনকে বানিয়েছি তোমাদের কাজের জন্য। ’ (সুরা : নাবা, আয়াত : ৯-১১)
অনেক রাতে ঘুমালে অনেক রকমের মিসটেক হয় কিংবা অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে রাতের নামাজ তো পড়া হয়ই না আবার ফজরের সালাতও বেশিরভাগ সময়ে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দ্বিতীয়ত, তিনি সকালে যে বরকতের বিষয়টি রয়েছে সেটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখানে তিনি ইবাদত ও বরকত দুটি থেকেই বঞ্চিত হবেন।
এ ছাড়া সকালে দিবসের ফেরেশতারা আগমন করেন, রাতের ফেরেশতারা চলে যান। তখন আপনার রিপোর্ট যাবে, আপনি অলস। এ ছাড়া শয়তান ঘুমন্ত ব্যক্তিদের বেশি ফাঁদে ফেলতে পারবে। এরকম অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুকে বরকতময় করুন। ’ এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, সখর (রা.)-ও তার ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তার ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয়। তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৬)
এ ছাড়া নানা রকম শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। মানসিক যে প্রশান্তি সেটা বেশি রাত জাগলে আসে না। তাকে সবসময় বিপদগ্রস্থ অবস্থার মতো অবসাদ নিয়ে ঘুম থেকে উঠতে হয়। এই গুলো সরাসরি হাদিস থেকেই বলা।