রাজশাহী প্রতিনিধি :-রাজশাহীর বিনোদপুরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম সাফফাত নাঈম নাফি। তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং মতিহার হলে থাকতেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সাফফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
সাফফাতের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আরেক ছাত্র শরীফ বিনোদপুরের একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন। ওই ছাত্রাবাসের উচ্চমাধ্যমিকের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে শরীফের বিরোধ ছিল। এর আগে উচ্চমাধ্যমিকের ওই ছাত্ররা শরীফের কক্ষের সামনে হট্টগোল করেছিলেন। এ বিষয়ে শরীফ ওই মেসের মালিকের কাছে অভিযোগ করেছিলেন।
বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মেসের মালিক, শরীফ, সাফফাতসহ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী বিষয়টি সমাধান করতে আলোচনায় বসেন। আলোচনার শেষদিকে ওই কক্ষে কয়েকজন তরুণ ঢোকেন। একপর্যায়ে শরীফ, সাফফাতের সঙ্গে তরুণদের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় শরীফ ওই কক্ষ থেকে পালিয়ে গেলেও সাফফাত সেখানে আটকে পড়েন। এ সময় ওই তরুণেরা সাফফাতের পায়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন।
সাফফাতকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ সাফফাতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম, প্রক্টর আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর প্রমুখ হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
আসাবুল হক বলেন, ‘আমি রাতেই সেখানে গিয়েছিলাম। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নিলে ভালো হবে। তাই আজ তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
নগরের মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী বলেন, পুলিশ এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। আমরা মেস মালিককে থানা হেফজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সাফফাতকে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন