রামগঞ্জে ভাতিজার ছুরিঘাতে চাচার মর্মান্তিক মৃত্যু
লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার শাহারপাড়া গ্রামে মঙ্গলর সকাল ৭টার দিকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের চাহিদাকৃত ২লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ার অপরাধে আনোয়ার হোসেন (৪৫) নামের চাচাকে উপর্যুগী ছুরীঘাতে নির্মমভাবেকুপিয়ে হত্যা করেছে ভাতিজা মোঃ ইউসুফ (৪২)। হত্যাকান্ডে শিকার আনোয়ার হোসেন সাহারপাড়া গ্রামের আলী রেজা ব্যাপারী বাড়ীর মজিবুল হকের ছেলে ও ৪ সন্তানের জনক। হত্যাকারী মোঃ ইউসুফ একই গ্রামের মাইঝের বাড়ীর এরশাদ মিয়া ছোট ছেলে।
নিহত আনোয়ারের স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাথী ও নিকটাত্মীয়রা জানান, আনোয়ার হোসেনের শ্যালককে বিদেশ পাঠানোর জন্য একটি সংস্থা থেকে ২লাখ নেন তিনি। এখবর জানতে পেরে মোঃ ইফসুফসহ আরো তিনজন আনোয়ারের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। গত দুই তিন দিন থেকে কয়েকবার আনোয়ারের দোকানে এসে হুমকি ধমকি দেয়। ২৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৭টার দিকে মোটর সাইকেলে করে ইউসুফ ও আরো দুইজন দোকানে ঢুকে আনোয়ার হোসেনকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি চুরিকাঘাত করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মারাত্মক আহতবস্থায় আনোয়ার হোসেন দোকান থেকে বের হয়ে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে দ্রুত রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানেই মারা যায় আনোয়ার হোসেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহিম মজুমদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হত্যাকারী মোঃ ইউসুফ যুবদল ও হত্যাকান্ডে শিকার আনোয়ার হোসেন বিএনপির কর্মী হলেও বড় কোন পদে নাই।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক আমির ফয়সাল জানান, নিহত আনোয়ার হোসেনের বুকে ও পেটে বেশ কয়েকটি ছুরীঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল বারী জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মঙ্গলবার সকালে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের লক্ষীপুর জেলা হসপিটাল মর্গে প্রেরণ করেছে। মৃতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাথী বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।























