রামগড়ে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই
খাগড়াছড়ির রামগড়ে অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রামগড় উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের পাশে অবস্থিত পাতাছড়া বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারের আবুল মিয়ার কুলিং কর্নারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে আগুন দ্রুত পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে মুহূর্তেই ৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও ততক্ষণে সবগুলো দোকানই ভস্মীভূত হয়ে যায়।
দোকানগুলো থেকে কোনো মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সময় পাননি দোকানিরা। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন: মোঃ কামরুল ইসলামের মুদি দোকান, মোঃ সোহাগের স্টেশনারি ও কম্পিউটার দোকান, মোঃ রহিমের মুদি দোকান, মোঃ শফিক মিয়ার চায়ের দোকান, মোঃ রবিনের স্টেশনারি ও কম্পিউটার দোকান, মোঃ নজরুল ইসলামের মুদি দোকান, মোঃ সেলিম হোসেনের মুদি দোকান, মোঃ আবুল মিয়ার কুলিং কর্নার।পাতাছড়া ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি মোঃ সোহাগ জানান, “সকাল থেকে বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে এবং ভোল্টেজও বেশি ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই আগুনে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।”তিনি আরও বলেন, “ফায়ার সার্ভিস পর্যাপ্ত পানি নিয়ে আসেনি। কিছুক্ষণ আগুন নেভানোর পর পানি শেষ হয়ে যায়। অন্যথায় ক্ষয়ক্ষতি আরও কম হতে পারত।”রামগড় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা বিশাস্তর বড়ুয়া জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে খবর পেয়ে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শামীম, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন ও দলটির নেতাকর্মীরা, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।