জ্বালানি অবকাঠামো, হাসপাতাল, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রের মতো বেসামরিক নিশানায় রাশিয়ার হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। আর এ কারণেই রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক একটি রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত চারটি দেশের পার্লামেন্ট রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। এগুলো হলো- লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও পোল্যান্ড।রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাব মূলত প্রতীকী। এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের মতো আইনি কাঠামো নেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের। একই সময়ে ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্লকটি।
বুধবার প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। এই প্রস্তাবে রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক একটি রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র চারটি দেশকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ঘোষণা করেছে। এগুলো হলো- কিউবা, উত্তর কোরিয়া ও সিরিয়া। এই তালিকায় থাকার অর্থ হলো, এসব দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা এবং আর্থিক বিধিনিষেধ থাকবে।
মার্কিন কংগ্রেসের উভয়কক্ষে এমন প্রস্তাব ও অনুরোধের পরও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এখন পর্যন্ত রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন।
আবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রসহ অপর দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার জন্য। তিনি অভিযোগ করেছেন, রুশ সেনারা বেসামরিকদের নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে। এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো।