ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে বিরোধিতাকারী পশ্চিমা শক্তিগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনাকারী শত্রু হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
মঙ্গলবার তিনি এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীদের অস্ত্র দেয়া এবং রাশিয়ার সেনাদের আক্রমণ করার জন্য তাদের যুক্তি-পরামর্শ দেয়া- সবই যুদ্ধের কাজ।
পেসকভ বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা এখনও তাদের উল্লেখ করার সময় মৃদু শব্দ ‘অবন্ধু রাষ্ট্র’ ব্যবহার করছি।’
পশ্চিমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাখা রাশিয়ার বৈদেশিক রিজার্ভ জব্দ করার সিদ্ধান্ত এবং এ অর্থ ইউক্রেনে সহায়তা হিসেবে দেয়ার আলোচনা নিঃসন্দেহে রাশিয়ার সম্পত্তির অধিকারের ওপর আক্রমণ।
পেসকভ বলেন, ‘এটি আপনার এবং আমার মালিকানাধীন অর্থ ছিল।’ তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের কাছ থেকে চুরি করা হয়েছিল; এটি আমাদের কাছ থেকে চুরি করা হচ্ছে।’
রাশিয়ার বিরোধীরা তাদের ‘হাইব্রিড যুদ্ধে’ রাশিয়াকে আঘাত করার প্রচেষ্টায় আরও প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করছে। রুশ ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ব্রিটিশ সামরিক উপদেষ্টারাও সশস্ত্র ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীদের পরামর্শ দিয়েছেন এবং তাদের গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছেন।’
পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার খ্যাতি নষ্ট করতে সহায়তা করছে বলেও মন্তব্য করেন পেসকভ। তিনি বলেন, ‘তারা এমন উস্কানিও দেয়, যেগুলো মাঝে মধ্যে এতো রক্তপিপাসু যে মানুষের বিবেক তা কল্পনা করতে পারে না।’
উদাহরণ হিসেবে তিনি ইউক্রেনের বুচা শহরের কথা উল্লেখ করেন। কিয়েভের দাবি, রুশ সেনারা এটি নিয়ন্ত্রণ করার সময় যুদ্ধাপরাধ করেছে। মস্কো কিয়েভের বিরুদ্ধে প্রমাণ জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ। আর অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৮০ লাখের বেশি লোক।
সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।
রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ শহরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে।