মাসুদ রানাঃ- ১ নং বালিথুবা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের সেকদী গ্রামের চিত্রশিল্পী হাসেম খান নামে রাস্তাটির পাকা করন কাজে কারো জায়গা বেশি আবার কারো জায়গা কম নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঐ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করেন অভিযোগকারী বেপারী বাড়ির নারী মিনু বেগম (৫২) বলেন পুরাতন রাস্তা পাকা হোক এটা সবারই কামনা, এখন রাস্তা প্রসস্থ হচ্ছে দুই পাসের জায়গা দিয়েই হবে, এখানে রাস্তা হবে ১১ ফুট তাহলে দুই পাস থেকেই সমান জায়গা নিয়ে রাস্তা করা হবে কিন্তু একপাশ থেকে বেশি জায়গা আবার আরেকপাশ থেকে কম জায়গা নেয়া হচ্ছে তাছাড়া একপাশের গাছ কাটা হচ্ছে আরেক পাশের গাছ রেখে দিচ্ছে কেন? তিনি আরও বলেন এ ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করলে কিছু নেতা টাইপের লোক আমাদের হুমকি ধমকি দিচ্ছে, অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখায়। ওনারা আমাকে ছয় চার দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করে, আমি কি শিশু বাচ্চা যে আমাকে ছয় চার দিয়ে বুঝাবে। আমি কি একেবারেই অবুঝ? আমিতো এই এলাকায় অনেক বছর যাবত বসবাস করি।
আমি মহিলা মানুষ বলে আমার জায়গা বেশি নিবে আর ওই পাশের জায়গা কম নিবে এটা কেন হবে? অভিযোগের প্রক্ষিতে এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার সাগর মজুমদারের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি চরমুকুন্দি রাস্তার মাথায় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাতে নিয়ে বলেন, এ রাস্তাটা দীর্ঘদিন অবহেলিত, বর্তমান সরকারের উদ্দ্যোগে এ রাস্তাটি হচ্ছে। এই রাস্তাটি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হইতে সব সময় লোদ কাদায় জর্জরিত ছিল। এই রাস্তাটি হওয়াতে এলাকাবাসী উৎছাসিত, আনন্দিত। রাস্তাটি এখন হচ্ছে জনগনের জায়গা দিয়েই হচ্ছে জনগণের জায়গা দিয়েই হবে। কারন বাংলাদেশে যত জায়গা দিয়েই রাস্তা হয় জনগণের জায়গা দিয়েই হয়। তিনি আরও বলেন, জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস আবার জনগণের সার্থেইতো রাস্তা হচ্ছে, এখানে কারো জায়গা একটু বেশি যাবে কারো জায়গা একটু কম যাবে তাই বিধানে কোন প্রতিহিংসা থাকবেনা, প্রতিহিংসা যদি কেউ করে আমরা ওয়ার্ড মেম্বার চেস্টা করবো জনগণের পাশে থেকে জনগণের সমস্যা সমাধান করে, মানুষের মন সন্তুষ্ট করে সরকারি কাজে সরকারকে সহযোগিতা করা। কারন আমরা সরকারের প্রতিনিধি আমাদের কাজই হলো সরকারের কল্যানে এবং জনগণের কল্যানে কাজ করা।
অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন এরকম কোন অভিযোগ থাকলে আমি এবং এলাকার গন্যমান্য মানুষ একসাথে বসে কথা বলে ব্যাপারটিকে আমলে নিয়ে সমাধান করবো ইনশাআল্লাহ। গ্রামের মুরুব্বি শাহজাহান খান (সাবেক মহুরি) বলেন, আমাদের এই রাস্তাটা বিগত ৫০ বছর আগের। আমাদের পুর্ব পুরুষ এই রাস্তাটি করতে পারেনাই। আমি এই রাস্তার কাজে প্রথম থেকেই উদ্দ্যেগ নিয়েছি। আমার সাথের অনেকেই আজকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছে। আমাদের এমপি মহোদয়ের কাছে কয়েকবার গিয়েছি। এমপি মহোদয়ের প্রচেষ্টার ফলে আমরা রাস্তাটি পেয়েছি। জনগণের সার্থে এই রাস্তা করতেছি। এখন পূর্বের রাস্তা থেকে এখন প্রসস্থ হয়ায় কারো সম্পত্তির কোন সমস্যা হলে আমরা জনগণ জায়গায় উপস্থিত থেকে রাস্তাটি করতে যেভাবে সুন্দর হবে আমরা সেভাবেই করার চেষ্টা করবো। কারো বেশি কারো কম এই চিন্তা করবোনা। দুই দিকেই ছয় ফুট করে করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মামুন হোসেন মজুমদার বলেন, আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে রাস্তার কাজটি সরেজমিনে গিয়ে দেখার এখতিয়ার রাখি। আমিও এ ব্যাপারে কঠোর হাতে সমাধান করবো। সবাই যেন সুন্দর ভাবে খুশি মনে জায়গা দিয়ে সরকারকে সাহায্য করে। কারণ সরকার জনগণের জন্য আবার জনগণ সরকারের জন্য। কারো সমস্যা হোক এটা আওয়ামী লীগ এবং আমরা কখনোই চাইনা।