সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের নতুন করে আলোচনা খুব শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে বলে খবর দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি। তিনি বলেছেন, ইরাক এক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
সৌদি আরব ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে তেহরানস্থ সৌদি দূতাবাস ও মাশাহদস্থ সৌদি কনস্যুলেটে একদল উত্তেজিত জনতার হামলার অজুহাতে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
কয়েক বছর দু’দেশের সম্পর্কে অচলাবস্থা থাকার পর ইরাকের মধ্যস্থতায় দেশটির রাজধানী বাগদাদে এ পর্যন্ত তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে পাঁচ দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ব্যাপারে প্রথম চার দফা আলোচনায় তেমন একটা অগ্রগতি অর্জিত না হলেও পঞ্চম দফা আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অচলাবস্থা কেটে যাওয়ার আভাস পাওয়া যায়।
নাসের কানয়ানি ওই পাঁচ দফা আলোচনার ফলাফল বর্ণনা করে বলেছেন, ইরাক সরকার সম্প্রতি সৌদি আরবের সঙ্গে যে আলোচনা করেছে এবং বাগদাদের সঙ্গে তেহরানের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে তার ফলে তেহরান-রিয়াদ আলোচনার একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই এ আলোচনা আবার শুরু হতে যাচ্ছে বলে আশা করা যায়।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তার দেশ সব সময় আলোচনাকে স্বাগত জানায় এবং আসন্ন আলোচনায় একটি বাস্তবসম্মত ও অনুধাবনযোগ্য ফলাফল বেরিয়ে আসবে বলে তেহরান আশা করছে। তিনি বলেন, সৌদি আরব দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যতখানি এগিয়ে আসবে ইরানের কাছ থেকে তার চেয়ে বেশি সাড়া পাবে।
আসন্ন বৈঠকের তারিখ জানাতে না পারলেও নাসের কানয়ানি বলেন, দু’দেশের পক্ষ থেকে এমন প্রতিনিধিদল এবারের বৈঠকে অংশগ্রহণ করবে যারা তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখে। কাজেই সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে এবার অতি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হবে বলে তিনি জানান। সূত্র: পার্সটুডে