মালিক মনজুর আমরা ইতালী প্রবাসী আমি মালিক মনজুর গত ০২/০৯/২০২৪ তারিখ BG 356 ফ্লাইটে এসেছি রোম(Fco) থেকে ঢাকাতে(Dac),আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার দীর্ঘ ২৪ বছর প্রবাস জীবনে এই প্রথম বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছে,
আমি সবসময় এমিরেটস এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করি এবং রেগুলার যাএী ছিলাম,কিন্তু সবচেয়ে মজার বিষয় হলো যখন দেখলাম এবং আমি নিজেও নিউজ করেছিলাম বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নতুন করে আধুনিক রুপে 787 মডেল বিমান বহরে পুনরায় চালু হয়েছে রোম(Fco) টু ঢাকা(Dac) রুটে তখনই কেমন যেনো মনটা ছুটে গেলো বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য, তাই দেরী না করে এবার সরকারি ছুটিতে টিকেট কেটে নিলাম বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ইতালি রোমের Csv Travel agency সত্ত্বাধীকারী ইকবাল আহমেদ বাবু ভাইয়ের কাছ থেকে।
আপনারা অনেকেই এখনো জানেন না এই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর জন্য দিন রাত কতটুকু পরিশ্রম করেছে ইতালি রোমে নতুন করে চালুর জন্য Csv Travel এর সত্ত্বাধীকারী ইকবাল আহমেদ বাবু ভাই।আমি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উদ্ভোদনী নিউজ করার সুবাধে কিছুটা জানি বিধায় লিখলাম, যাইহোক আমি ০২/০৯/২০২৪ তারিখে BG 356 রোম(Fco) থেকে সকাল ১১:৪৫ মিনিটে ছেড়ে আসা বিমানে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্য,বিমানে উঠে প্রথম শ্রেণীর আসনে গ্রহণ করলাম।রোম ফিউমিচিনো(Fco) বিমান বন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স উড্ডয়ন করেছে মাএ ৫৬ মিনিট দেরীতে বিমানের কিছু ATC ট্যকনিক্যাল সমস্যা কারনে কিন্তু(Dac) Land করেছে বাংলাদেশে ঠিক সময় মত, এবার আসি বিমানের ভিতরের সার্ভিস নিয়ে, সেপ্টেম্বরে দুই তারিখের ফ্লাইট ছিলো যাএী মোটামুটি বেশ ভালোই ছিলো,বিমানে যাএী ছিলো কিন্তু আমরা বুঝতেই পারিনাই তেমন কারন অনান্য এয়ারলাইন্সের মতন নিয়ম শৃঙ্খলা ছিলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সেও,টানা ৯ ঘন্টা ভ্রমণে বিমানের কেবিন ক্রু ব্যবহার ছিলো অমায়িক,স্যার বলে সম্মোধন,সম্মান এবং কেয়ার নেওয়াও কোন ত্রুটি ছিলোনা তাদের, খাবারের মান ছিলো বেশ এবং আমাদের বাংগালী খাবার দুই বেলা,বিমান ছারার দুই ঘন্টা পরেই দুপুরের খাবার আর বিমান নামার ২ ঘন্টা আগে রাতের খাবার পরিবেশন, এর মাঝে বিভিন্ন ধরনের ফ্রুটস জুস,চা,কফি ছিলো অতিরিক্ত,ভ্রমণের সময় কেবিন ক্রুর ৪০ মিনিট পর পর যাএীদের খোঁজ খবর নেয়া নিয়ে তাদের ব্যবহার ছিলো অতুলনীয়,
আমি নিজেও একজন ইতালির হাই স্পীড ফ্রেচ্চিয়ারসসা 1000 মডেল ট্রেনে জব করি তাদের মতন আমিও একজন,হয়তো আমি স্থলে আর তারা আকাশে এইটুকুই ডিফারেন্স,আমি বুঝি ক্রু সার্ভিস ভিতরের কাজ কেমন হতে পারে,আমি কিছু পর্যবেক্ষন করেছি আমার নিজ ১৪ বছর সার্ভিসের অভিজ্ঞতায় সেজন্য এত কিছু লেখা,বিমান বাংলাদেশে Land করার পর কেবিন ক্রুদের ধন্যবাদ দেওয়ার সময় আমি আমার পরিচয়টা বলার পর বললো তাহলেতো আমরা আপনার কলিগ,আগে কেনো বললেন না,সত্যি খুব ভালো ব্যবহার পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ,
আরেকটি কথা না বললেই নয়,আসলে আমরা নিজেরাই পারি এই রাষ্ট্রীয় সম্পদকে আরো উন্নয়ন এবং সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে,আর তার জন্য দরকার আমাদের সকলের সহযোগিতা,বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স রাজনীতির বাহিরে থাকুক আর রাজনীতির বাহিরে থাকলে আরো উন্নয়ন হবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।এক সময় হয়তো ইতালিয়ানরাও বাংলাদেশ ভ্রমণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকেই বেছে নিবে।
আমরা ইতালি প্রবাসীরা চাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ইতালিতে শুধু রোমে নয় মিলান,ভেনিস,বলোনীয়া শহরের ইতালির বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাড়ানো হোক, এবং রোমে আরেকটি বেশি বিমান যোগ করা হোক তবে যাএী সংখ্যা সিজন বুঝে,অনান্য আন্তর্জাতিক বিমানগুলো সিজননুযায়ী কম বেশি ফ্লাইট যাএী সংখ্যা বুঝে যোগ বিয়োগ করে।
রোমে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের বিমান যাএী সংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং বিভিন্ন শহরে যাএীরা দাবী করছে বিমান আরো বাড়ানো হোক,সর্বশেষে বলবো আমার নিজের ব্যক্তিগত ভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ভ্রমণ করে অনেক ভালো লেগেছে, কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা রইলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স