রাজধানীর লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও হাজীরবাগ এলাকায় অনুমোদনহীন নকল প্রসাধনী, খাদ্যদ্রব্য ও মশার কয়েল উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৫ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১১:৩০ ঘটিকা হতে সন্ধ্যা ১৭:৪৫ ঘটিকা ও সকাল ১১:৩০ ঘটিকা হতে রাত ২১:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে দুইটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও হাজীরবাগ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় অনুমোদনহীন নকল প্রসাধনী, খাদ্যদ্রব্য ও মসার কয়েল উৎপাদন মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ১। সোনারগাঁও ফুড এন্ড ভেবারেজ ইন্ডাস্ট্রি’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ২। রমিহ এন্টারপ্রাইজ’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, ৩। হক বেকারী’কে নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৪। গার্ডেন ফুড’কে নগদ – ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ৫। প্রিয় ফুড’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, ৬। সুনামি ফুড’কে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ৭। এ. জেট. প্রোডাক্টস বিডি’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা ও ৮। এম. আর. মার্কেটিং কোম্পানী’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, এক্সিলেন্ট সার্ভিস’কে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা ও হাবিব হার্বাল’কে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা করে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১২,০০,০০০/- (বারো লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল প্রসাধনী, খাদ্যদ্রব্য ও মসার কয়েল উৎপাদন মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল বলে জানা যায়।