স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরে ট্রেইনিং রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) শূন্য পদে নতুন চাকরি পেলেন ৪৮ জন। এর মধ্যে ৪২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী।
বুধবার দিবাগত রাতে জেলা পুলিশ লাইনের অডিটোরিয়ামে টিআরসি পদে উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার ড. এ এইচএম কামরুজ্জামান।
৪৮ শূন্য পদের বিপরীতে ১৫৩১ জন চাকরিপ্রত্যাশী নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এবং বিভিন্ন ধাপের পরে ৫২২ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৪৮ জন প্রতিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। সম্পূর্ণ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ফলাফল নিয়ে মেধা তালিকা করা হয়। মেধা তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন কোঠা বিভাজন করে ৪২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারীকে মনোনীত করা হয়।
চাকরিতে মনোনীত হওয়া কয়েকজন জানান, ১৩০ টাকায় চাকরির আবেদন করে গত ২৭ মার্চ পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন তারা। দীর্ঘদিন কষ্ট করার পর কোনো দালাল ছাড়াই যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন তারা। এজন্য জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান অভিবাবকরাও। এ সময় বিনা টাকায় চাকরি পেয়ে কেঁদে ফেলেন অভিভাবক ও চাকরিপ্রার্থীরা।
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী মোঃ আবদুর রহীম, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন, সহকারি পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরূ।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, সবাই সবার যোগ্যতা অনুযায়ী সিলেকশন হয়েছে। আমি মনে করি প্রত্যেকটি জায়গায় চাকরির ক্ষেত্রে আমরা যদি এভাবে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিতে পারি, তাহলে প্রতিটি সেক্টরে আমাদের লক্ষ্য ও অর্জন এবং কাজ করার জন্য যে যোগ্যতাগুলো দরকার তা সম্ভব। নবীন এসব পুলিশ সদস্যদের সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্বল হবে।