প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা না থাকলে মহামারির প্রভাব বাংলাদেশে ধ্বংসাত্মক হতে পারত।আমরা করোনা সংক্রমণকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পেরেছি এবং এখন সংক্রমণ অনেকাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত বাংলাদেশ তার লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশের বেশি জনসংখ্যাকে বিনা মূল্যে টিকা দিয়েছে।’
জার্মানি এবং ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভী আয়োজিত ‘২০২২ গ্যাভী কোভ্যাক্স এএমসি সামিট:ব্রেক কভিড নাউ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে পূর্বধারণ কৃত ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
যে দেশগুলো এখনো টিকা কার্যক্রমে পিছিয়ে তাদের সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, কিছু দেশ এখনো তাদের টিকা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে অনেক দূরে রয়ে গেছে। এই দেশগুলি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ মনোযোগ এবং সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি জনস্বাস্থ্যের জরুরি পরিস্থিতিতে কার্যকরভাবে সাড়া দিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাকে শক্তিশালী করেছে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি এই উদ্দেশ্যে আমাদের একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম অফার করেছে। ভবিষ্যতের মহামারি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের এই প্ল্যাটফর্মটিকে প্রয়োজনীয় সংস্থান এবং দক্ষতার সাথে সমর্থন করতে হবে।
ভার্চ্যুয়েল এ ইভেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল এবং গ্যাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জোসে ম্যানুয়েল বারোসো বক্তব্য রাখেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. নাজলা বাউডেন এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।