কুমিল্লার লালমাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া উভয় দলের অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছে।
গুলিবিদ্ধদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ শরিফ জানান, একজনের পায়ে ও হাতে এবং আরেকজনের মাথায় ছররা গুলি লেগেছে। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত।
আজ শনিবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলামের বাড়িতে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীর।
তারা অভিযোগ করেন, দুপুর ২টার দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াতউল্লাহর নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪০ থেকে ৫০ জন নেতাকর্মী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় গৈয়ারভাঙা বাজার থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উন্দানিয়া গ্রামে যান এবং বিএনপির সভাস্থলের মঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন।
তবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন।
বিএনপির লোকজন তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান। তিনি বলেন, হামলায় তাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হানিফ সরকার দেশ রূপান্তরকে বলেন, উভয় দল একই এলাকায় সমাবেশের আয়োজন করে এবং পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত কোনও দল থানায় অভিযোগ করেনি।