স্টাফ রিপোর্টারঃ
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে উপজেলা সৎস্য অধিদপ্তর ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সকল প্রজাতির মাছের ঘাতক জাল চায়না চাঁই ( চায়না দুয়ারী) জব্দ করেছে ।
আজ সোমবার (১৩জুন) বেলা ৪ টার দিকে পদ্মা নদীর লৌহজং হতে কনকসার পর্যন্ত লৌহজং থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। এসময় ১৫ টি চায়না চাঁই আটক করে। যার বাজার মূল্য ৭৫০০০ টাকা। পরে জব্দকৃত চায়না চাঁই গুলো আগুনো পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ এই তিন মাস দেশীয় মাছের প্রজননের সময়। এইসময় নদীতে জোয়ার আসে। লৌহজংয়ে কিছু অসাধু জেলে ও সাধারণ মানুষ এ সময় নিষিদ্ধ চায়না চাঁই দিয়ে সাবার করছে দেশীয় মাছ। এ চাঁই দিয়ে মাছের পোনা থেকে শুরু করে বোয়াল মাছ পর্যন্ত ধরা পড়ে। এর ফলে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় মাছ।এখন অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত প্রায়।এভাবে চললে আগামী ১০ বছর পর দেশীয় মাছ বলতে কিছুই থাকবে না। এক সময় কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা হতো। বাংলাদেশ সরকার কারেন্ট জাল ও চায়না চাঁই নিষিদ্ধ করেছেন। তারপরও অসাধু জেলে ও সাধারণ মানুষ মাছ ধরছে। চায়না চাঁই পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে ও এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে লৌহজং উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর তা জানতে চাওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, চায়না চাঁই বা চায়না দুয়ারী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ সেই অর্থে আমরা পদ্মা নদীতে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। ইউনিয়ন পর্যায়ে অভিমান পরিচালনা করা হবে। নদী-নালা খাল বিল ও পুকুরে কিছু কিছু মানুষ নিষিদ্ধ চায়না চাঁই ব্যবহার করে মাছ ধরছে। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যদি একটু সচেতন হোন তাহলে দেশীয় মাছ বৃদ্ধি পাবে মূলত সচেতনতাই পারে দেশীয় মাছ রক্ষা করতে।