বিশ্বকাপ মিশনের চতুর্থ ম্যাচে নাসুমের বলে লং অন দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। ৯৭ বলে ১০৩ রান করেও অপরাজিত থাকেন বিরাট। টানা চতুর্থ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে দলটি। আর এই সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে শচিন টেন্ডুলকারের আরও কাছে পৌঁছে গেলেন তিনি।
ওয়ানডেতে শচিনের সেঞ্চুরি ৪৯টি আর কোহলির সেঞ্চুরি ৪৮টি। তবে সেঞ্চুরি করার আগেই শচিন টেন্ডুলকারকে ছাপিয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। ছুঁয়ে ফেললেন আরও একটি মাইলফলক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম ২৬ হাজার রান করার রেকর্ড গড়লেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচের আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫১০ ম্যাচের ৫৬৬ ইনিংসে কোহলির সংগ্রহ ছিল ২৫,৯২৩ রান। অর্থাৎ, ২৬ হাজার রান পূর্ণ করতে তার প্রয়োজন ছিল ৭৭ রান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস খেলার পথে ৭৮তম রানে পৌঁছেই সেই মাইলফলক পার হয়ে যান কোহলি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৬ হাজার রান কোহলির আগে করেছেন তিনজন। শীর্ষে রয়েছেন শচিনই। ৬৬৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩৪,৩৫৭ রান। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শ্রীলংকার সাবেক অধিনায়ক কুমারা সাঙ্গাকারা। ৫৯৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার সংগ্রহ ২৮,০১৬ রান।
তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রিকি পন্টিং। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ৫৬০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে করেছেন ২৭,৪৮৩ রান। এ তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এলেন কোহলি। বৃহস্পতিবার ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের পর ৫১১টি ম্যাচে কোহলির রান হল ২৬,০২৬। তিনি এদিন টপকে গেলেন শ্রীলঙ্কার আরেক সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনেকে। ৬৫২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয়াবর্ধনের সংগ্রহ ২৫,৯৫৭ রান। তিনি থাকলেন তালিকার পঞ্চম স্থানে।
একই দিন আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন কোহলি। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের ক্ষেত্রে উঠে এসেছেন চতুর্থ স্থানে। একই ম্যাচে প্রথমে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছিলেন রোহিত শর্মা। কিছুক্ষণ পরেই তার জায়গা নিয়ে নেন কোহলি।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোহলির সংগ্রহ হল ১২৮৯ রান। এ ক্ষেত্রেও তার আগে রয়েছেন শচিন, পন্টিং এবং সাঙ্গাকারা। একদিনের বিশ্বকাপে শচিনের রয়েছে ২২৭৮ রান। পন্টিং ১৭৪৩ এবং সাঙ্গাকারা ১৫৩২ রান করেছেন বিশ্বকাপে। পঞ্চম স্থানে পঞ্চম স্থানে নেমে যাওয়া রোহিতের সংগ্রহ ১২৪৩ রান।
সূত্র: আনন্দবাজার।