তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে বুবলীর সুখের সংসারে আগুন ধরেছে বলে অভিযোগ ঢালিউডের এ নায়িকার। ওই পক্ষ শাকিবকে ঘিরে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে এসব করছে বলেও ইঙ্গিত করেছেন বুবলী। বুবলীর তৃতীয় পক্ষ বলতে কাকে বোঝাতে চাইছেন?-এমন প্রশ্ন তার ভক্ত-সমালোচকদের।
বুবলীর শাকিবকে বিয়ের ঘোষণা ও তাদের সন্তানের খবর প্রকাশ্যে আনার পর থেকেই ঢালিউডের এ জনপ্রিয় জুটির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এর পর থেকে কাজের বাইরে তাদের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। দ্বন্দ্বটা চূড়ান্ত রূপ নেয় শাকিবের একটি সাক্ষাৎকার ঘিরে। যেখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, বুবলীর জন্মদিনে তার কাছ থেকে যে হীরের নাকফুল পাওয়ার কথা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন, সেটি তিনি দেননি। শুধু তাই নয়, বুবলীর সঙ্গে তার সম্পর্ক জোড়া লাগার নয়।
বুবলীর ‘হীরার নাকফুল’ পাওয়া নিয়ে শাকিবের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাসের তাচ্ছিল্যের হাসি ভরা পোস্ট এবং পরে শাকিব খানের অস্বীকার— নায়িকাকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে। অপুর পোস্টের জবাবে পাল্টা পোস্ট দিয়েছেন বুবলী।
কিন্তু শাকিবের সাক্ষাৎকারে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন বুবলী। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বুবলী বলেন, ‘শাকিব খানের সাক্ষাৎকারটি দেখে আমি অবাক হয়েছি। সাক্ষাৎকারে সে যেভাবে বিবৃতি দিয়েছে, এটি আমার জন্য অনেক অপমানজনক। কারণ জন্মদিনের উপহার ধরে যে বক্তব্য সে দিয়েছে, এত শৈল্পিক একটা ব্যাপার নিয়ে সে কীভাবে এটি অস্বীকার করল, আমার মাথায় আসছে না।’
বিষয়টিতে তৃতীয়পক্ষ ইন্ধন জোগাচ্ছে জানিয়ে এ নায়িকার ভাষ্য— ‘কয়েক দিন ধরে তৃতীয় পক্ষে স্ট্যাটাস, আজ শাকিবের বক্তব্য নিয়ে বিষয়টি গভীরভাবে ভাবলে বুঝতে পারবেন সেটি। শাকিব খানের এমন আচরণে সন্দেহ হচ্ছে।
বুবলীর বক্তব্যে সহজেই বোঝা যাচ্ছে— তিনি তৃতীয় পক্ষ বলতে অপু বিশ্বাসকে বোঝাতে চাইছেন।
এ বিষয়ে বুবলী বলেন, আমার সন্দেহ হচ্ছে, তৃতীয় পক্ষের একজনের ইন্ধন আছে এখানে (শাকিবের সঙ্গে দূরত্ব)। শাকিব খানের ওপর তার পক্ষ থেকে চাপও থাকতে পারে। এসব শাকিব খানের সঙ্গে তার পূর্বের সম্পর্কের মাঠ তৈরির প্রস্তুতি কিনা, এটিও ভাবার বিষয়।’যুগান্তর