রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের পুঠিয়া গ্রামের মৃত কাশেম সরকারের ছেলে মো. কোরবান সরকার। সে পেশায় একজন কৃষক। ছোট বেলা থেকেই গরু লালন-পালন করা তার খুব শখ। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রস’ জাতের একটি গরু বড় করেছেন। তার নাম রেখেছে ‘সেকেন্দার’, ৩০ মন ওজনের সেই ‘সেকেন্দার’ এবার এলাকা কাঁপিয়ে তুলছে। গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। গরুর মালিক মো. কোরবান সরকার জানান, ‘সেকেন্দার’ তৈরী করতে তিন বছর সময় লেগেছে। তবে এখনো তেমন লোকজন জানা শোনা হয় নাই। তিনি আরও জানান, আমি পশু-পাখির প্রতি খুব যতœশীল। সন্তানের মতোই ‘সেকেন্দার’কে বড় করে তুলেছি।
দেশীয় পদ্ধতিতে ছোলা, সবুজ ঘাস, খৈল, ভূষি, চিটা গুড়, ছোলা, গম, মসুর, কালাই, খেশারী, জব, ভুট্টাসহ কেমিক্যাল ফ্রি পদ্ধতিতে তাকে বড় করা হয়েছে। প্রতিদিন ৮শত টাকার খাবার তাকে খাওয়ানো হয়। এছাড়া পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ঔষধ খাওয়ানো হয়।
সরজমিনে ২৭ জুন সোমবার উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের পুঠিয়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন শত শত মানুষ এই ‘সেকেন্দার’কে দেখার জন্য কোরবানের বাড়ীতে ভীড় করছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। পরম যতেœ তাকে যেন লালন-পালন করছে। তিনি জানান, আমার ইচ্ছা ‘সেকেন্দার’ কে বাড়ী থেকেই বিক্রি করব। তাই বিত্তশালীদের প্রতি তার আবেদন যেন গরুটির ন্যায্যমূল্য পায়। ‘অস্ট্রেলিয়ান জাতের ক্রস’ পুঠিয়া থেকে শাহজাদপুরে সৌখিন ও বিত্তবান মানুষের মাঝে এক বাড়তি আমেজ সৃষ্টি করেছে। সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও গরু নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সাদা-কালো রঙের পারহা-পারহি ‘সেকেন্দার’কে দেখতে সৌখিনীরা প্রতিদিন তার বাড়ীতে ভীড় করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, গরুটি সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন পালন করা হয়েছে। গরুটি হলো ‘অস্ট্রেলিয়ান জাতের ক্রস’। এ জাতের গরু আমাদের দেশে এখন খামারিরা পালন করছে। আমার জানা মতে গরুটি শাহজাদপুর উপজেলায় সর্বচ্চো বড়।