মতলব উত্তর প্রতিনিধি:
মতলব উত্তর উপজেলার শিকারী কান্দি আকবরীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক লোকমান হোসেনের বিরোদ্ধে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীনতা হানির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭ এপ্রিল সকালে শিকারী কান্দি আকবরীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী বিদ্যালয়ে যায়। পানি পানের জন্য যায় ঐ ছাত্রীকে ধর্মীয় শিক্ষক লোকমান হোসেন ঢেকে রুমে নিয়ে যায়।পরে তার হাত ধরে টানাটানি করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দেয়। পরে ঐ ছাত্রী ডাকচিৎকার করে দৌরিয়ে আত্ম রক্ষা করে।
পরে ঐ ছাত্রী তার অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি জানানো হলে তারা ধর্মীয় শিক্ষক লোকমান হোসেন কর্তৃক ছাত্রী শ্লীনতা হানির বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে জানান এবং তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার বিভিন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কিছু লোক বলছে, এমন নেক্কারজনক কাজের সাথে জড়িত একজন ধর্মীয় শিক্ষক এটা মেনে নেওয়া যায়না। আবার কেউ বলছে অভিভাবকরা শিক্ষকদের কাছে তাদের সন্তানদের নিরাপদ মনে করেন, অথচ সেই শিক্ষক দ্বারাই ছাত্রী শ্লীনতা হানির ঘটনা ঘটেছে। এর চেয়ে আর দু:খের বিষয় কি থাকতে পারে।
এলাকাবাসীরা জানান, ধর্মীয় শিক্ষক লোকমান হোসেনকে চাকরিচ্যুত করতে হবে। কারন তার কাছে আমাদের সন্তান নিরাপদ নয়। সে যদি বহাল থাকে তাহলে আমরা আমাদের সন্তানদের অন্য বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করাবো। তাছাড়া এই শিক্ষকের আরো কু-কৃতির ঘটনা আমরা জানি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক লোকমান হোসেনের অপকর্ম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তবে এবিষয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। সভাপতির সাথে কথা হয়েছে, তিনি বিষয়টি মিমাংসা করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি ওবায়দুল উল্লাহ তুষার বলেন, শিক্ষা মন্তনালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কায়ুম খানকে বারবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি।