মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি)। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ছিল ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এ অবস্থায় শনিবারও (২৭ জানুয়ারি) আবহাওয়া একইরকম থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাংশে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
ফলে উত্তরবঙ্গের চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এ অবস্থায় দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়েছে। তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত একই অবস্থা থাকতে পারে। আপাতত বৃষ্টিপাতের শঙ্কা নেই, তবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়।
অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে ২০১৮ সালে। ওই বছরের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল। এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। একই দিন সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া এদিন নীলফামারীর ডিমলায় ৩ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩.১ ডিগ্রি এবং দিনাজপুরে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।
২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি সৈয়দপুরে ৩ ডিগ্রি এবং ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এর আগে, ১৯৯৬ সালে দিনাজপুরে ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া ২০১৯ সালে তেঁতুলিয়ায় ৪.৯ ডিগ্রি, ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে ৪.৫ ডিগ্রি এবং ২০১৭ সালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়।