ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বুড়ামারা গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০টি বাড়ি-ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। করা হয়েছে লুটপাটও। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর আতঙ্কে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি শৈলকুপার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয় লাভ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস। এরপর থেকেই পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেনের সমর্থকের সাথে তার সমর্থকদের উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত জজ আলী বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফারুক হোসেন সমর্থকরা তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়। রাত ১২টা পর্যন্ত ২ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, চালসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়।
আহামদ আলীর স্ত্রী বলেন, আমরা নৌকায় ভোট দিয়েছিলাম বলে আমাদের বাড়ির পুরুষ মানুষ আজ বাড়ি ছাড়া। আমরা কয়েক জন মেয়ে মানুষ ছিলাম। রাতে ওরা এসে আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। যা কিছু আছে তাই নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেনের বাড়ি এলাকায় আমার কিছু সমর্থক আছে। তারা আমাকে ভোট দিয়েছে। যে কারণে তাদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হচ্ছে। আমি এই হামলা-ভাংচুরের বিচার দাবি করছি।
পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত উনারা কোন অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।