কাজী মোঃ আশিকুর রহমান
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঢাকা-১৯ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন ‘সম্মানিত ভোটারগণের ভোটে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এ জন্য ভোটারদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ‘ভোটাররা সন্ত্রাস চায় না, চাঁদাবাজ চায় না, ভূমিদস্যু চায় না। এ জন্য আমাকে তাঁরা ভোট দেবে, এই বিশ্বাস আমার ছিল। আমার মনে হয়, এই বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ঢাকা-১৯ আসনে হয়েছে। সেই আসনের ভোটাররা বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করেছেন। আমি যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেই প্রতিশ্রুতি আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’
সোমবার(৮ জানুয়ারী) দুপুরে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় সমাজের বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণী পেশার মানুষদের সম্বর্ধনার জবাবে এসব কথা বলেন সাইফুল ইসলাম।সাভার-আশুলিয়ার হাজার হাজার সমর্থক তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটারগণের ভোটে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। সম্মানিত ভোটারদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। হেভিওয়েট প্রার্থী আপনাদের মিডিয়ার সৃষ্টি। মিডিয়ায় কাজ করা ব্যক্তিরাই বিভিন্ন সময় প্রচার করেছেন ওই দুজন প্রার্থীকে নিয়ে। আমাকে নিয়ে সেরকম প্রচারণা হয়নি। আমি মনে মনে হেসেছি, যেই সংসদ সদস্য হোক, আমাকে টপকিয়ে হতে হবে। তবে আমার হাইট অনেক বেশি, আমাকে টপকানো অনেক কঠিন কাজ।’
চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাভার ও আশুলিয়ায় কোনো চাঁদাবাজ রাখব না। যাঁরা ফুটপাত ও বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করেন তাদের ভালো হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের প্রয়োজনে সাভার ছাড়া হতে হবে। সে যে কেউ হোক না কেন। আমি চাই সাভারকে উন্নয়নের রোল মডেল করার।’
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো: তৌহিদ জং মুরাদকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। হেভিওয়েট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জিততে কেমন চ্যালেঞ্জ ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বলেন, হেভিওয়েট প্রার্থী মিডিয়ার সৃষ্টি। মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় প্রচার করেছে ওই দুজন প্রার্থীকে নিয়ে। আমাকে নিয়ে সেরকম প্রচারণা হয়নি।’
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে মোট ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য ঈগল প্রতীকের তালুকদার মো: তৌহিদ জং মুরাদ পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট। নৌকা প্রতীক নিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৬ জন। আর এবারে মোট ভোট সংগ্রহ হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৫০টি।
গত ৮ নভেম্বর আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন নবনির্বাচিত এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাছে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি। নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্রভাবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।