স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদ এবং এর যেকোনও ধরনের মোকাবিলায় জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের এই অফিসের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে বাংলাদেশ।
বুধবার (৩১ আগস্ট) জাতিসংঘ সদরদফতরে জাতিসংঘের সন্ত্রাস দমন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (ইউএসজি) ভ্লাদিমির ভরনকভের সঙ্গে আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
তৃতীয় জাতিসংঘ পুলিশ সামিটের সাইডলাইনে আয়োজিত বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশের সদরদফতর ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত সন্ত্রাস দমন বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতিগুলো তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভ্লাদিমির ভরনকভ সন্ত্রাস দমন এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন নীতি, উদ্যোগ এবং সফলতার প্রশংসা করেন।
তিনি ২০২৩ সালের জুনে অনুষ্ঠেয় সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থাসগুলোর প্রধানদের আসন্ন উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানান এবং সেখানে বাংলাদেশের এ সংক্রান্ত উত্তম অনুশীলন ও সাফল্যগাঁথা তুলে ধরার অনুরোধ জানান।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল সন্ত্রাসে অর্থায়ন, পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কারিগরি সহায়তাসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রসারিত করতে জাতিসংঘ প্রস্তত রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন।