পুরো শীত মৌসুম জুড়ে নাগালের বাইরে থাকা শীতকালীন সবজির দাম কমেছে শীতের শেষে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা দাম কমেছে পেঁয়াজের। ৩০ টাকায় নেমেছে আলু। তবে এই সময় বেড়েছে মাছ-মাংস দাম।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ভোটের আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা পর্যন্ত নামলেও। গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়। আজ তা ৭২০-৭৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
এছাড়াও শাকের মধ্যে সরিশা শাক আঁটি ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, বথুয়া শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও আজ তা ৩০-৩৫ টাকায় নেমেছে। পেঁয়াজ ৯০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। এছাড়াও কিছুটা কমেছে আদা রসুনের দাম। নতুন রসুন ১৮০-২০০ টাকা ও আদা ২০০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আবারও ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার ২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ৩০০-৩৩০ টাকা। আবারও গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকায় দাম উঠেছে।
মাছের বাজারে সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২২০-২৩০ ও পাঙাশ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। মাছ যত বড় তার দাম ততো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।