বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বঙ্গভবনে ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাবেন তারা।
এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করে রূপরেখা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আরও যাদের নাম প্রস্তাব করেছে সমন্বয়করীরা। তারা হলেন- ড. বদিউল আলম মজুমদার, মতিউর রহমান চৌধুরী (মানবজমিন), ড. আসিফ নজরুল, ড. সলিমুলিলাহ খান, ব্রি. জেনারেল ড. সাখাওয়াত হোসেন (অব:), মেজর জেনারেল মুনিরুজজামান (অব:), আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলম, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ডা. পিনাকী ভট্টাচার্য, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, প্রজেশ চাকমা।
এ ছাড়া তাদের দেওয়া প্রস্তাবে যা রয়েছে-
১. সরকারের মেয়াদ ৩-৬ বছর (সর্বোচ্চ)।
২. মেয়াদ শেষের ৩ মাস আগে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
৩. পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আজ ৬ আগস্ট বিকেলের মধ্যেই সরকার গঠন।
৪. প্রধান বিচারপতির অপসারণ/পদত্যাগ এবং দলবাজ বিচারপতিদের অপসারণ।
৫. আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন প্রধানদের অবসরে পাঠানো (তিন বাহিনী বাদে)।
৬. নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন।
৭. সংবিধান সংশোধন করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বাতিল।
৮. সরকারের সকল চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল।
৯. ছাত্র-নাগরিক হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, নিহত ও আহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান।
১০. জুলাই মাসকে জাতীয় শোকের মাস ঘোষণা।
১১. বিগত ১৫ বছরের দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা, শ্বেতপত্র প্রকাশ।
১২. দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠন।