সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ির জ্বালানি খরচ ২০ শতাংশ কমিয়েছে সরকার। জ্বালানি সাশ্রয় ও ব্যয় সংকোচনে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কর্মকর্তাদের জন্য পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট বাবদ বরাদ্দের ৮০ শতাংশের বেশি খরচ করা যাবে না। এ খাতে বেঁচে যাওয়া অর্থ অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না।
এ ছাড়া, বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ করা অর্থের ২৫ শতাংশ সাশ্রয় করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার পরিকল্পিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্তের পর সরকারি সব দপ্তরে বিদ্যুতের ২৫ শতাংশ ব্যবহার কমানো, জ্বালানি খাতের বাজেট বরাদ্দের ২০ শতাংশ কম ব্যবহারের ব্যবস্থাসহ আরো আট দফা সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
এ ছাড়া এর আগে গত সোমবার চলমান জ্বালানিসংকট পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আরেক বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং জ্বালানি তেল আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর পাশাপাশি ডিজেলচালিত সব বিদ্যুৎকেন্দ্রও আপাতত বন্ধ থাকবে।
এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমবে। আর বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণে সারা দেশে দিনে এক ঘণ্টা লোডশেডিং করবে বিদ্যুৎ বিভাগ, যা গত মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হয়েছে। শপিং মল, দোকানপাট রাত আটটার মধ্যে বন্ধেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জ্বালানি খাতের বাজেট বরাদ্দের ২০ শতাংশ কম ব্যবহারের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় পরিপত্র জারি করবে বলে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জানান।