সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ভর্তির লটারি উদ্বোধন করেন তিনি।
এর মাধ্যমে ৫৫০টি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯টি শূন্য আসনে ভর্তির জন্য ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, সরকারি স্কুলের প্রতি আসনে প্রায় ছয়জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। বেসরকারি স্কুলে সাড়ে তিন আসনে একজন আবেদনকারী রয়েছে। সরকারি স্কুলে এক ধরনের ভর্তিযুদ্ধ তৈরি হলেও বেসরকারিতে এ সুযোগ থাকছে না। প্রায় ৭২ শতাংশ আসন খালি থাকবে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেস্বর) বিকেল ৩টায় বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি আয়োজন করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, এবার সারাদেশে ৫৫০টি সরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯টি শূন্য আসনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি নেওয়া হবে। আর দুই হাজার ৮৫২টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়া হবে নয় লাখ ২৫ হাজার ৬৬টি আসনে।
লটারি আয়োজন অনুষ্ঠানে টেলিটকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ লটারির মাধ্যমে সারাদেশে সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসনে ভর্তির জন্য ফলাফল তৈরি করা হবে। এক ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বলা হয়, সম্পূর্ণ অটোমেশন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ে ভর্তি লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সংরক্ষিত কোটা আসন বরাদ্দ রেখে বাকি আসনে ভর্তির জন্য লটারি করা হচ্ছে। সংরক্ষিত কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে সেগুলো সাধারণ কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য সারাদেশে ৫৫০টি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯টি শূন্য আসনে মোট ছয় লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি আবেদন জমা হয়েছে। সে হিসাবে প্রতি আসনে আবেদনকারীর সংখ্যা ৫ দশমিক ৮৪। লটারির মাধ্যমে সব ক্লাসে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
অন্যদিকে দেশের ২ হাজার ৮৫২টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৬৬টি আসনে মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি আবেদন জমা পড়েছে। সেই হিসাবে প্রতি সাড়ে তিনটি আসনে একজন মাত্র আবেদনকারী। এতে ছয় লাখ ৬৪ হাজার ১৩৩ টি আসন খালি থাকছে। মোট আসনের প্রায় ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী শূন্য থাকছে।