শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নারীর অধিকারে অনেক দূর এগোলেও সামাজিক কিছু রক্ষণশীলতা আছে। সর্বোচ্চ পদে থাকলেও নারী নিরাপদ নয়। অগ্রগতিতে নারীদের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করতে হবে। ধর্ষণের ঘটনায় নারীর ইজ্জত সম্ভ্রমহানির মতো সামাজিক ধারণা থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হবে। এর আচরণগত দায় পুরুষের। নারীর অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারী বান্ধব রাজনীতি ও নারী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভাষা দিয়ে নারীকে দমিয়ে রাখার প্রবণতা দূর করতে হবে। নারী-পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে, নারীর অংশীদারত্ব বৃদ্ধি করতে হলে পুরুষকে এই আন্দোলনে যুক্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এগিয়েছি অনেক অনেক দূর কিন্তু যেতে হবে আরও বহুদূর। নারীর অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারীবান্ধব রাজনীতি ও নারী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
“অন্তর্ভুক্তিমূলক সংগঠন গড়ি, নতুন সমাজ বিনির্মাণ করি”— এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইডিশ অ্যাম্বাসেডর আলেকক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ড। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় অধ্যাপক ও স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. শাহলা খাতুন, তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন সুরাইয়া বেগম ও তার দল। সম্মেলনের উদ্ধোধনী ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম। সভায় মোট কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন ৫০০ জন।