রথীজিৎ ভট্টাচার্য। জি বাংলার সা রে গা মা-র দৌলতে এখন ওঁকে সবাই চেনে। বহু বছর ধরে সা রে গা মা-র মঞ্চে নতুন ট্যালেন্টদের গ্রূমিংয়ের দায়িত্ব ওঁর হাতেই। কত প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটেছে রথীজিতের হাত ধরেই।
রথীজিৎ নিজেও একজন সুগায়ক এবং কম্পোজার। ওঁর সুরে এবং গায়কীর মাধুর্যে বহু গান ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবু নতুন প্রতিভাদের এবং নিজের বহু ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে-পিঠে গড়তে অনেকটাই সময় চলে যায় রথীজিতের। নিজের জন্য গান বাঁধার খুব একটা সময় হয় না। সামনেই সা রে গা মা পা। ব্যস্ততা তুঙ্গে। যত সময় যাবে, নাওয়া-খাওয়া ভুলতে হবে রথীজিৎকে। তবু এরই মধ্যে সময় বের করে নিজের মত করে একটি গান বেঁধেছেন রথীজিৎ। ভরপুর প্রেমের গান। নাম দিয়েছেন “সর্বনাশী”।
রথীজিৎ প্রেমে বাঁচেন। ওঁর প্রেমে কে সর্বনাশ ঘটালো? খোলসা করলেন রথীজিৎ নিজেই। তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী শ্রেয়ার জন্যই এই গানটা আমার বাঁধা। ওঁর জন্য সমস্ত সর্বনাশ আমি মাথা পেতে নিতে পারি। ও-ই আমার জীবনে সর্বনাশী। আমি প্রথমে সুর ভাঁজি। সুর তৈরি করার পর গানের কথার জন্য লিরিসিস্টকে ফোন করি। কিন্তু উনি সেইসময় ব্যস্ত থাকায় আমি নিজেই একটা স্ক্র্যাচ লিরিক্স লিখে ফেলি। আমি যে ভাষায় প্রেম করি, একদম সেই সহজ ভাষাতেই গানটা লিখে ফেললাম।পরে গানটা সবাই যখন শোনে ,বলল, এই লেখাটাই থাক। এইভাবেই ‘সর্বনাশী’ তৈরি হল।”
এই “সর্বনাশী” দিয়েই রথীজিতের গান লেখার হাতেখড়ি। গানটি সদ্যই মুক্তি পেয়েছে ইউটিউব চ্যানেলে। এটি একটি মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্ম। গোটা গানটি শুটিং হয়েছে নর্থ বেঙ্গলে। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আয়ুষ্মান গোস্বামী। মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন আনকোরা দুটি ছেলেমেয়ে– রিষ্টি এবং মৃগাঙ্ক। রথীজিৎ ‘রথীজিৎ ভোকাল আর্ট’ নামে নিজের মিউজিক লেবেলও তৈরি করেছেন। এই মিউজিক লেবেলের মাধ্যমেই “সর্বনাশী” মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।