জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মামলার প্রধান আসামি সাময়িক বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার জামালপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী জানান, শুক্রবার দুপুরে বাবুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিকেলে ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এসময় বাবু সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার পাথাটিয়ায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন নাদিম। স্থানীয় সাংবাদিক এবং পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাতেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৫ জুন সকালে নাদিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী মনিরা বেগম সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে বাবুসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাবু পলাতক ছিলেন। তবে ১৭ জুন পঞ্চগড় জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তাকে আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। এছাড়া গ্রেপ্তার অন্য আসামিদেরও বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে শুক্রবার আদালতে তোলা হয় বাবুকে।
এর মধ্যে বাবুকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। পাশাপাশি কেন তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শাতে (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে।