নারী বিশ্বকাপ আসরের ছয়টি ট্রফি আগে থেকেই ছিলো নিজেদের দখলে। অজিরা এবার টুর্নামেন্টে এসেছিলো নিজেদের সপ্তম শিরোপা ঘরে তোলার লক্ষ্য নিয়ে। গতবারই হয়ে যেত পারতো যেটি, হয়নি চিরশ্ত্রু ইংল্যান্ডের কারণে। এবার সেই ইংলিশদেরই ফাইনালে নাস্তানাবুদ করেই সপ্তম শিরোপা ঘরে তুললো অজি মেয়েরা।
রোববার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে যেন নিজেদেরেই বিপদ ডেকে আনে ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫৬ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৩৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ডের মেয়েরা। ৭১ রানে জিতে নারী বিশ্বকাপের সপ্তম শিরোপা নিজেদের করে নেয় অ্যালিসা হিলি আর অ্যালিসা পেরিরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই অজি ওপেনার অ্যালিসা হিলি ও র্যাচেল হেইনস। ১৬০ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন দুই ব্যাটার।
৬৮ রানে হেইনসের বিদায় নিলে বেথ মুনিকে সঙ্গে নিয়ে ঠিকই অস্ট্রেলিয়াকে রানের পাহাড়ে নিয়ে যেতে থাকেন হিলি। শেষমেশ ইংল্যান্ডের বোলারদের ওপর দিয়ে স্টীম রোলার চালিয়ে হিলি আউট হন ১৩৮ বলে ২৬ চারে ১৭০ রান করে। বেথ মুনি করেন ৪৭ বলে ৬২ রান। ব্যাটারদের ঝড়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫৬ রান।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ইংল্যান্ড কোনোসময়ের জন্যই ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি। সঙ্গীদের আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু ন্যাট স্কিভার। এক প্রান্ত আগলে রেখে মাঝ সমুদ্রে ডুবতে বসা নৌকাকে যেন একাই টেনে তুলে নিয়ে যেতে চান তীরে। চেষ্টাতা বেশ ভালোই করেছিলেন তবে শেষমেশ আর পারলেন না। ১২১ বলে ১৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেও স্কিভারের নাম হেরে যাওয়াদের দলে।
স্কিভারের আপ্রাণ চেষ্টা আর অন্যদের সমান তালের ব্যর্থতাতে শেষমেশ ইংলিশরা থামে ২৮৫ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যালানা কিং ও জেস জোনাসেন নেন ৩টি করে উইকেট।
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা অ্যালিসা হিলি ফাইনাল সেরার পাশাপাশি জিতে নিয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও।