সোমবার (১৮ আগস্ট) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রবিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রের মাধ্যমে এ ঘোষণা জারি করা হয়েছে। এটি বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২-এর বিধি ৫ অনুযায়ী করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে সাভার উপজেলায় টানেল ও হাইব্রিড হফম্যান কিলন ব্যতিত সকল ইটভাটা বন্ধ থাকবে। এছাড়া, উন্মুক্তভাবে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো, নতুন বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী শিল্প কারখানার অবস্থানগত বা পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান, এবং অন্যান্য বায়ুদূষণজনিত কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির বর্ণনা বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সাভারের বায়ুমানের বার্ষিক গড় মাত্রা জাতীয় নির্ধারিত মানমাত্রার প্রায় তিন গুণ বেশি। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে, উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত বায়ু সাভারের এই দূষণকে ঢাকায় নিয়ে আসে, যা রাজধানীর মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।
সরকার আশা করছে, এই ঘোষণার ফলে সাভার ও ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পরিবর্তন আসবে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ বলতে বোঝায় এমন একটি ভৌগোলিক এলাকা, যেখানে বাতাসের মান বা গুণমান জাতীয় নিরাপদ সীমার অনেক নিচে। বায়ুদূষণের মাত্রা এত বেশি যে জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ধরনের এলাকায় সাধারণত শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হৃদরোগ ও ফুসফুসের রোগ বাড়ার ঝুঁকি থাকে।