নাহিদুজ্জামান শয়ন: নেপাল থেকে “সার্ক ব্রিলিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড” পেয়েছেন বাংলাদেশের যুব সংগঠক ও সমাজকর্মী মোঃ সুমন রহমান (রুহিত সুমন) ও অ্যাডভোকেট মোঃ মুহাইমিনুর রহমান পলল। সামাজিক পরিসেবার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি, যুব ও নারী উন্নয়ন এবং করোনাকালিন মানবিক ও সচেতনতামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ময়ূরপঙ্খী শিশু-কিশোর সমাজকল্যাণ সংস্থা ও ময়ূরপঙ্খী পরিবারের চেয়ারম্যান রুহিত সুমন’কে এ আন্তর্জাতিক সম্মানে সম্মানিত করা হয়।
অপরদিকে কুষ্টিয়া জেলায় ১ যুগ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ, করোনা কালীন জেলা প্রশাসনের সাথে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকদের নেতৃত্বদান ও সম্মুখসারীতে সেবা প্রদানের জন্য সমাজ সেবা ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা দেওয়া হয় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তরুণ আইনজীবী এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক কর্মী অ্যাডভোকেট মোঃ মুহাইমিনুর রহমান পললকে৷ বর্তমানে তিনি ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে বিদ্যার্থী গবেষক হিসেবে পিএইচডি গবেষণা করছেন।
১৬ এপ্রিল নেপালের কাঠমুন্ডূতে অবস্থিত নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডে অনুষ্ঠিত সার্কভুক্ত আট দেশের অংশগ্রহণে কালচারাল সামিটে ওয়ার্ল্ড বুক অব স্টার রেকর্ডস এর পক্ষ থেকে “সার্ক ব্রিলিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড” এই সম্মানজনক পুরস্কার প্রদান করা হয়। আন্তর্জাতিক এই সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপালের সাবেক ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী সুজাতা কৈরালা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের আইয়ুশ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব দিনেস উপান্ডে, নেপালে নিযুক্ত ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি নাভিন কুমারসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ । সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়ের লক্ষ্যে আয়োজিত এই সামিটে বিভিন্ন দেশ থেকে মনোনিত প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন ।
রুহিত সুমন তার প্রতিষ্ঠিত সংস্থা “ময়ূরপঙ্খী” এর মাধ্যমে মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন । করোনা প্রাদুর্ভাবকালিন সময়ে করোনা প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা, ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়, অসহায়, দুঃস্থ ও ছিন্নমূলদের মাঝে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান প্রদান, সচেতনতামূলক লিফলেট প্রদান, খাদ্য ও ইফতারসামগ্রী প্রদান, স্বনির্ভরতা ও কর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিনসহ নানামুখি কর্মসূচি চলমান রয়েছে ময়ূরপঙ্খী সংস্থাটির । পাশাপাশি বন্যা দূর্গতদের খাদ্যসামগ্রী, আর্থিক সহযোগিতা, সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয় ।
সুমন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্মান সত্যিই খুব গর্বের বিষয়। বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকার নাগরিক হিসেবে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্তি অনেক বেশি গর্বের ও আনন্দের। আমি মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি এবং যুব শক্তিকে সম্পৃক্ত করে আরো বেশি কাজ করতে চাই । আমি এই পুরস্কার মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ এবং করোনা যোদ্ধাদের উৎস্বর্গ করলাম।
একই বিষয়ে সহমত পোষণ করে কুষ্টিয়ার তরুণ আইনজীবী ও সমাজসেবক অ্যাডভোকেট মোঃ মুহাইমিনুর রহমান পলল বলেন। এ অর্জন শুধু আমার নয় আমার পরিবার, গুরুজন এবং কুষ্টিয়ার সকল তরুণ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের এবং আমার সেই বন্ধুদের এবং সম্মিলিত সামাজিক জোটের যারা প্রেরণা যুগিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডে এবং প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে। ২০১০ সালে একটি সাধারন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিয়ে কার্যক্রম আরম্ভ করে বিগত ১ যুগে অর্ধ সহস্রাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার কর্মসূচি সংগঠিত করেন কুষ্টিয়ার এ তরুণ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মী।
নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডে অনুষ্ঠানে সার্ক ব্রিলিয়ান্স এওয়ার্ড ও কালচারাল সামিটে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ থেকে প্রায় সহস্রাধিক নমিনেশনে প্রোফাইল যাচাই বাছাইয়ে শতাধিক এওয়ার্ডী নির্বাচিত হন চূড়ান্ত তালিকায়। পেশাগত কাজে ব্যস্ত থাকায় অ্যাডভোকেট মোঃ মুহাইমিনুর রহমান পললের পক্ষে জনাব রুহিত সুমন উক্ত সম্মাননা গ্রহণ করেন।