আই এইচ লিংকন , মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ দুটি সিসা কারখানা উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের আবাসিক প্রকল্প ডিসি প্রজেক্ট এর ভিতর গড়ে তোলা হয়েছে এ দুইটি অবৈধ সিসা কারখানা। আশপাশে ও প্রকল্পের ভিতরে রয়েছে কয়েক শতাধিক পরিবারের বসবাস।
জানাযায়, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সিসা তৈরির কাজ করা হয় কারখানা দুইটিতে। ব্যাটারির ভেতরের এসিড মিশ্রিত জমাট বজর্য (সিসা) মাটির গর্তে চুল্লির মধ্যে সাজিয়ে রেখে আগুন ধরিয়ে যন্ত্র দিয়ে বাতাস দেয়। বজর্য আগুনে পুড়ে তরল সিসা হয়। বজর্য সরিয়ে সিসা আলাদা করে লোহার কড়াইয়ে রাখা হয়। রাতে সিসা আগুনে পোড়ানোর সময় ধূসর ও কালো ধোঁয়ায় গ্রাম আচ্ছন হয়ে যায়। ধোঁয়ায় আশপাশের গাছপালাগুলো বিবর্ণ হয়ে গেছে। কারখানার ধোঁয়া ও বজের্য ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের কবলে এখন আবাসিক প্রকল্প ও পাশের গ্রাম গুলি । এসিডের ঝাঁঝালো গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। অসুস্থ হয়ে পড়ছে আশপাশের বাড়ির মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, ডিসি প্রোজেক্টের মেইন গেইট থেকে পাকা রাস্তা ধরে ২০০ গজ মধ্যে রাস্তার দুই ধারে ২ টি সীসা গালানো কারখানা । সেখানে থাকা বেশ কিছু শ্রমিক পরিত্যক্ত ব্যাটারির খোলস আলাদা করছেন। তাঁদের হাতে গ্লাভস পড়া থাকলেও মুখ-পায়ে কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেখা যায়নি। এসিড মিশ্রিত বজের্যর ছোট ছোট বেশ কয়েকটি স্তুপ দেখা যায়। প্রতিটি কারখানার মাটি গর্ত করে সিমেন্টের ঢালাই করে দুটি করে চুল্লি বানানো। চুল্লির পাশে ছোট ছোট সিসার টুকরা পরে রয়েছে। কারখানার ভেতরে হাজার হাজার পরিত্যক্ত ছোট-বড় ব্যাটারি। প্রকল্পে বসবাসকারী ও এলাকাবাসী জানায়, এখানে প্রায় প্রতি রাতে ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা বের করা হয়। যখন ব্যাটারি পোড়ানো হয়, তখন গোটা এলাকায় ধোঁয়া আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। গ্রামের মানুষের কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গাছপালা ফলমূল সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত এই অবৈধ সিসা কারখানা দুটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল আলম তানভীর বলেন, এ ধরনের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে যদি মানুষের ক্ষতি করে আমি অবিলম্বে কারখানা বন্ধ করার ব্যবস্থা করব।