ঢাকা , সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দেশের প্রথম নারী শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীন ফরিদগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য সড়ক র্্যালি উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সব উপজেলায় সাপে কামড়ের ভ্যাকসিন সরবরাহে হাইকোর্টের নির্দেশ সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা, বন্ধ হচ্ছে ইটভাটা সিলেটের ডিসি হলেন সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার এ সপ্তাহে নির্বাচন কর্মপরিকল্পনার চূড়ান্ত রোডম্যাপ : ইসি সচিব জন্মদিনে মুক্তি পাচ্ছে ম্যাজিশিয়ান রাজুর ‘লাইফ ইজ ম্যাজিক’ কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক বাবুল কারাগারে মৎস্য খাতের উন্নয়নে প্রকৃতি ও পানির প্রতি সদয় হতে হবে- প্রধান উপদেষ্টা হতাশায় নিমজ্জিত বনপাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা

সিলেটের ডিসি হলেন সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার

সাংবাদিক
র‍্যাবের সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে সিলেটের ডিসি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাকে তার নামের পাশে উল্লেখিত জেলায় জেলা প্রশাসক ও মেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি/ পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আদেশে সরওয়ার আলমকে সিলেট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি/পদায়ন করা হয়েছে। এর আগে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন।

এর আগে উপসচিব পদে পদোন্নতি পান আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। গত বছরের ১৩ আগস্ট নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।

ওই সময় সারওয়ার আলম লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর যিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী। তিনবার বঞ্চিত হওয়ার পর আজ উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলাম।’

২০২১ সালের ৭ মার্চ প্রশাসনের ৩৩৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার। কিন্তু পদোন্নতিবঞ্চিত হন ২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের আলোচিত এ কর্মকর্তা।

বিসিএস ২৭তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে ২০০৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন সারওয়ার আলম। ২০১৪ সালের ১ জুন সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। সে অনুযায়ী এ পদে প্রায় সাত বছরসহ মোট ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে কর্মরত থাকলেও সেসময় পদোন্নতিবঞ্চিত হন সারওয়ার আলম।

এরপর তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘চাকরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগই চাকরিজীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়।’

স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পর সারওয়ারকে বিচারের আওতায় আনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের ৩০ জুন এ নিয়ে বিভাগীয় মামলা হয় এবং তার কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। এ বিষয়ে সারওয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো লিখিত বক্তব্য দেননি।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১০:৩২:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
৫১০ Time View

সিলেটের ডিসি হলেন সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার

আপডেটের সময় : ১০:৩২:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
র‍্যাবের সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে সিলেটের ডিসি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাকে তার নামের পাশে উল্লেখিত জেলায় জেলা প্রশাসক ও মেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি/ পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আদেশে সরওয়ার আলমকে সিলেট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি/পদায়ন করা হয়েছে। এর আগে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন।

এর আগে উপসচিব পদে পদোন্নতি পান আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। গত বছরের ১৩ আগস্ট নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।

ওই সময় সারওয়ার আলম লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর যিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী। তিনবার বঞ্চিত হওয়ার পর আজ উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলাম।’

২০২১ সালের ৭ মার্চ প্রশাসনের ৩৩৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার। কিন্তু পদোন্নতিবঞ্চিত হন ২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের আলোচিত এ কর্মকর্তা।

বিসিএস ২৭তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে ২০০৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন সারওয়ার আলম। ২০১৪ সালের ১ জুন সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। সে অনুযায়ী এ পদে প্রায় সাত বছরসহ মোট ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে কর্মরত থাকলেও সেসময় পদোন্নতিবঞ্চিত হন সারওয়ার আলম।

এরপর তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘চাকরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগই চাকরিজীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়।’

স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পর সারওয়ারকে বিচারের আওতায় আনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের ৩০ জুন এ নিয়ে বিভাগীয় মামলা হয় এবং তার কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। এ বিষয়ে সারওয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো লিখিত বক্তব্য দেননি।