সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ হতে ৩৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত আল আহসা শহরের হুফুফ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিটি এলাকায় একটি সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাংলাদেশি ও ১ ভারতীয়সহ মোট ১০ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে ওই আগুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ৯ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- রাজশাহীর বাগমারার জফির উদ্দিন ছেলে মো. রুবেল হোসাইন, জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইনের ছেলে আরিফ, আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে ফিরুজ আলী সরদার, নাটোরের নলডাংগার মো. দবির উদ্দিন ছেলে মোহাম্মদ উবায়দুল, নওগাঁর আত্রাইয়ের আইজাক প্রামানীকের ছেলে রমজান, রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার, মাদারীপুরের কালকিনির ইউনুস ঢালীর ছেলে জুবায়েত ঢালী এবং সাভারের নগরকুন্দার মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি মৃতদের পরিবারের অভিপ্রায় অনুযায়ী মৃতেদেহসমূহ দ্রুত বাংলাদেশে প্রেরণ বা স্থানীয়ভাবে দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শ্রম কল্যাণ উইংকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সার্বিক সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। রিয়াদস্থ শ্রম কল্যাণ উইং বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি কর্মী বিপ্লব হোসেন ও মো. জুয়েল হোসেন দূতাবাস প্রতিনিধিকে জানান, ভারতীয় নাগরিকের পরিচালনাধীন সোফা কারখানাটিতে ১৪ জন বাংলাদেশি কর্মী কাজ করতেন। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে খাওয়া দাওয়া করে কারখানার ওপরের আবাসনে কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ নীচ থেকে আগুন আগুন চিৎকার শুনে তারা দুজন দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। চারদিকে কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারে প্রবেশপথ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তারা দুজন বেরিয়ে আসতে পারলেও বাকিরা কালো ধোঁয়ায় পথে হারিয়ে ফেলেন এবং নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান। ওই সময় ৩ জন কর্মী কারখানার বাইরে থাকায় তাদের কোনো সমস্যা হয়নি।
জানা গেছে, মরদেহগুলো হুফুফ কিং ফাহাদ মর্গে রাখা হয়েছে। আহতদের একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃতেদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো কিংবা স্থানীয়ভাবে দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।