যেসব হজ এজেন্সি সময়মতো হজযাত্রীদের ভিসা না করে ভোগান্তিতে ফেলবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি জানান, হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে আগামী বছর থেকে ৭০ শতাংশ হজযাত্রী সরকারি ব্যবস্থাপনায় নেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের হজযাত্রা শুরু হচ্ছে আগামী ৯ মে থেকে। বুধবার সকালে হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করে এসব জানান ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান । তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যে পোর্টালটি রয়েছে সেখানে আমরা নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছি। আগামী দিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা।
হজযাত্রীদের উদ্দেশে ফরিদুল হক খান বলেন, আপনারা সবাই যাতে সহি-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন সেজন্যই মূলত আজকের এই প্রশিক্ষণ। আমরা প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করেছি। আপনারা যদি প্রশিক্ষণের প্রতি মনযোগী হতে পারেন তাহলে আপনারা হজের নিয়ম-কানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতা-সবকিছু আয়ত্তে আনতে পারবেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা। হজ অনেক পরিশ্রমসাধ্য ইবাদত, এর জন্য শারীরিক সামর্থ্য থাকা বাঞ্চনীয়। অনেকেরই সেই শারীরিক সামর্থ্য থাকে না। এ কারণে তাদের পক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।
মন্ত্রী বলেন, অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে জমানো সঞ্চয় দিয়েই হজব্রত পালন করতে যান। এ দেশের অধিকাংশ মানুষেরই দ্বিতীয় বার হজ করার মতো আর্থিক সঙ্গতি থাকে না। সে কারণে আপনার পরিশ্রম ও অর্থ যেন বিফলে না যায় সেজন্য অবশ্যই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে হজ সম্পাদন করতে হবে। সহি ও শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে হবে।
দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে সর্তক থাকার জন্য হজযাত্রীদেরকে অনুরোধ করে ফরিদুল হক খান বলেন, সৌদি আরবে আপনার পরিচয় শুধু একজন হজযাত্রী নয়, আপনার পরিচয়-আপনি একজন বাংলাদেশি। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ পাবে।
ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জরুল হক ও ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।
প্রশিক্ষণে সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ঢাকার হজযাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।