রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির সময় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যেমন ছিল, সেই অবস্থা থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিছুটা উন্নতি হলেও তার অবস্থা খুব বেশি ভালো বলছে না সংশ্লিষ্টরা। যে কারণে বাসায় ফেরার ছাড়পত্র পাচ্ছেন না।
খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসের সমস্যা নিয়মিত বিরতিতে দেখা দিচ্ছে। বারবার ওষুধ দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। চিকিৎসাকরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে এই রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সম্ভব নয়। ফলে লিভারের সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য রোগগুলো কখনও-কখনও বেড়ে যায়। তখন সেই রোগগুলো চিকিৎসা দিতে হয়। যেগুলো বাসায় রেখে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, আগের মতোই আছে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা। খুব বেশি ভালো যাচ্ছে না। ম্যাডাম অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত। এরমধ্যে এখন লিভার সিরোসিসটা বড় সমস্যা। এখানে কোনও রকম জোড়াতালি দিয়ে চিকিৎসা চলছে। উনার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তো বারবার বলেছেন—ম্যাডামের উন্নত চিকিৎসা দরকার। যেটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তাকে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।
গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত।