ইসমাইল আশরাফ উত্তরা, ঢাকা।।
হিজড়াদের অত্যাচারে সাধারণ জনগণ তথা উত্তরাবাসী অতিষ্ঠ। তাদের খারাপ অঙ্গভঙ্গি ও অশোভন আচরণে বিব্রত হয়নি এমন মানুষ খুব কম আছে বৈকি। আর এদের নিয়ন্ত্রণ করে প্রভাবশালী একটি হিজরার চক্র। উত্তরাতে রয়েছে হিজড়াদের দুটি গ্রুপ। একপক্ষ সমর্থন করে “আপন” হিজড়া অন্যপক্ষ সমর্থন করে “কচি” হিজরা। এই দুই হিজরা গ্রুপের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ আজ অতিষ্ঠ।।
বিভিন্ন অফিস-আদালতে, দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে ঘুরে ঘুরে মাসিক কিংবা সাপ্তাহিক চাঁদা আদায় করা তাদের মূল লক্ষ্য। ইতিপূর্বে উত্তরা ৯নং সেক্টর হতে দুইজন হিজড়াকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ চাঁদাবাজির অপরাধে আদালতে চালান করেন। পুলিশের এই অভিযান চলমান।
আজ পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে চার হিজরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকাল আনুমানিক ১০.৩০মিনিটে উত্তরা পশ্চিম থানার ৭নং সেক্টরের বিএনএস টাওয়ারের সামনে চাঁদাবাজির সময়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।।
গ্রেফতারকৃত হিজরারা হলেন- মৌসুমী হিজরা(৩২), অনিকা হিজরা(১৯), তুলী হিজরা(২৪) এবং দুলী হিজরা(২৫)। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করতো বলে জানায় এলাকাবাসী। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে তারা কাউন্টার এবং গাড়িতে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতেন। যাত্রীদের সাথে অশ্লীল আচরণ করতেন।
আজ সকালে অভিযুক্তরা উত্তরা পশ্চিম থানার ৭নং সেক্টরের বিএনএস টাওয়ারের সামনে এনা পরিবহনের ম্যানেজার জিয়াউল হকের কাছে দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা যাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি ৫০০ টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু তারা তাদের দাবিকৃত টাকার জন্য অনড় থাকেন। এক পর্যায়ে তারা জিয়াউলের পকেট থেকে ১০১০টাকা নিয়ে নেন এবং আরও ৪৯০ টাকার জন্য কাউন্টার জুড়ে হৈ হুল্লোড় ও অশোভন আচরণ করতে থাকেন। শেষে কাউন্টার ম্যানেজার পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে ৪জনকে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনায় জিয়াউল হক বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহসিন “বাংলা ৫২ নিউজ”কে বলেন- আমার থানা এলাকায় কোন চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই। শুধু হিজরা নয় যে কারো চাঁদাবাজি আমি সহ্য করবো না। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।।