ইউক্রেনে পুরামাত্রায় আগ্রাসন শুরু করায় একদিকে পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করছে বিশ্ব। কিন্তু একটি জরিপে দাবি করা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর রুশ প্রেসিডেন্টের প্রতি দেশটির নাগরিকদের আস্থা তুমুল বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর এই জরিপ পরিচালনা করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত মতামত জরিপ ফাউন্ডেশন এফওএম। এতে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেন আক্রমণের মাঝেই পুতিনের সমর্থন আপাতদৃষ্টিতে বেড়েছে। মাত্র এক পাক্ষিকেরও কম সময়ের মধ্যে তার প্রতি দেশটির মানুষের সমর্থন ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭১ শতাংশে পৌঁছেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১৮ শতাংশ বলেছেন, তারা পুতিনকে বিশ্বাস করেন না। তবে তার প্রতি আস্থাহীনতার এই হার গত ফেব্রুয়ারির ২০ শতাংশের তুলনায় কিছুটা কম। জরিপে অংশ নেওয়া ১১ শতাংশ মানুষ এই জরিপে উত্তর দেননি।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে যখন দেশে এবং বিদেশে অনকের কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন তখন এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
পুতিনের সাবেক এক পরামর্শকের স্ত্রী লিউডমিলা নারুসোভা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে যে ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে তার নিন্দা জানিয়েছেন। ৬৯ বছর বয়সী এই নারী বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যে তথ্য রাশিয়ায় দেখানো হচ্ছে তা ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার।’
ডেইলি মেইল বলছে, সেন্ট পিটার্গবার্গের সাবেক মেয়র ও অধ্যাপক আনাতোলি সবচাককে বিয়ে করেছিলেন নারুসোভা। যিনি কেজিবি ছাড়ার সময় পুতিনকে তার ডেপুটি করেছিলেন।
তবে রাশিয়ার আরেক স্বতন্ত্র সংস্থা লেভাদা সেন্টারের অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে পুতিনের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন এক তৃতীয়াংশ রাশিয়ান। আর শহরাঞ্চলে পুতিনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতাকারীর হার প্রায় ৫০ শতাংশ।
এফওএমের জরিপে পুতিনের প্রতি জনসমর্থন বেড়েছে বলে জানানো হলেও রাশিয়ার কয়েক ডজন শহরে যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। বিভিন্ন শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৭০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ধরপাকড়ের পরও রাশিয়াজুড়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ চলছে।