রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ রাঙ্গামাটি জেলা রাজস্থলী উপজেলা ৩ নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত হেডম্যান পাড়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে( চৈত্র সংক্রান্তি)আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালিত হয়। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল ২০২২) বিকাল সাড়ে ৩টায় এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান দায়ক ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা,ও দায়ক ৩২০ নং কাকড়াছড়ি মৌজা নবাগত হেডম্যান ক্যসুইথুই চৌধুরীসহ পাড়া সকল দায়ক ও দায়িকারা বিহারে এসে সমাবেত হয়।
আজকে বৌদ্ধ ধর্মের লম্বীদের মধ্যে মারমা সম্প্রদায়ের বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ বা মারমা ভাষায় পুরাতন সাক্রয় বছরকে বিদায় ও নতুন বছর (সাক্রয়) কে স্বাগতম।
এ পবিত্র (চৈত্র সংক্রান্তি) আষাঢ়ী পূর্ণিমা প্রতিবছরে ন্যায় এবারে সকলে শান্তি শৃঙ্খলা সমৃদ্ধি পরিবেশ বজায় রেখে (চৈত্র সংক্রান্তি) আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালন করছি। মারমা ভাষা সাক্রয় মানে বছরকে বুঝানো হয়।মারমা সম্প্রদায় রা পুরাতন বছরে সুখ দুঃখ কষ্ট ব্যাথা বেদনা রাগ অনুরাগ দিন গুলি গ্লানিকে মুছে ভূলে যাক,নতুন বছরে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল জাতি সুখী শান্তি তে বসবাস করুক গৌতম বুদ্ধ কাছে প্রার্থণা করা হয়। এই দিন টি বৌদ্ধ ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে আখ্যায়িত পরিচিত।
সকল দায়ক ও দায়িকা মিলে বুদ্ধ পূজা, ফুল পূজা, প্রদীপ জ্বালিয়ে আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালন করি। বিহার অধ্যক্ষ,ঞানাওযাইনসা মহাথেরো বলেন,সকল দায়কও দাযিকা উদ্দেশ্য ধর্ম দেশনায় এবং জাতক বিষয়ে আলোচনা করা হয়।এ (চৈত্র সংক্রান্তি) আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপনে মারমা সম্প্রদায় রা তিনদিন ব্যাপী সাংগ্রাইং উৎসব পালন করে থাকে। গত বছর বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাব কারণে বড় পরিসরে উৎসব পালন করতে পারেনি।
এবার দেশে করোনা ভাইরাস স্বাভাবিক ফিরে আসা সাংগ্রাইং জল উৎসব পালন করা হবে।গৌতম বুদ্ধ বলেছেন,অহিংসা পরম ধর্ম।জগতে সকল প্রাণী সুখী হউক। সব্বে স ত্তা সুখীতা হোন্ত।