ঢাকা , মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন খালেদা জিয়া, গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ: ডা. জাহিদ বহির্বিশ্বেও ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা, পাবেন বিশেষ নিরাপত্তা শরীয়তপুরের প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন রওনক জাহান দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত মানিকগঞ্জে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি- হাসিনার সঙ্গে রেহানা ও টিউলিপের কারাদণ্ড রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদার রোগ মুক্তি কামনায়দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত শারিরীকভাবে অসুস্থ আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামানায় প্রবাসী নোয়াখালী জেলা বিএনপি সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল এর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইউএনও প্রদিপ্ত রায় দীপনের আকস্মিক পরিদর্শন

১০ লাখে মামলা রফাদফা করতে গিয়ে দুদকের উপসহকারী পরিচালক প্রত্যাহার

সাংবাদিক
১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক আবুল হাশেমকে তাৎক্ষণিকভাবে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। এ নিয়ে দেড় মাসে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশনের অবস্থান জিরো টলারেন্স। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা যেকোনো অনিয়মের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছি।’

সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বাগেরহাট থেকে প্রত্যাহার করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, একটি মামলার বিষয়ে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম সোহেলের কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন আবুল হাশেম। পরে তা পাঁচ লাখ টাকায় রফাদফা করার প্রস্তাব দেন তিনি। বিষয়টি লিখিতভাবে দুদকে জানানোর পরপরই ব্যবস্থা নেয় কমিশন।

এর আগে দেড় মাসে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে দুদকের আরও ছয় কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে দুদক। ১২০ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। সাবেক এই ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করবে বেল জানিয়েছে দুদক সূত্রটি।

এসব মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তাঁর দুই সহযোগী উৎপল ও আব্দুল আজিজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর ভিত্তিতেই অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:০১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫৯৯ Time View

১০ লাখে মামলা রফাদফা করতে গিয়ে দুদকের উপসহকারী পরিচালক প্রত্যাহার

আপডেটের সময় : ০৪:০১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক আবুল হাশেমকে তাৎক্ষণিকভাবে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। এ নিয়ে দেড় মাসে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশনের অবস্থান জিরো টলারেন্স। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা যেকোনো অনিয়মের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছি।’

সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বাগেরহাট থেকে প্রত্যাহার করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, একটি মামলার বিষয়ে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম সোহেলের কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন আবুল হাশেম। পরে তা পাঁচ লাখ টাকায় রফাদফা করার প্রস্তাব দেন তিনি। বিষয়টি লিখিতভাবে দুদকে জানানোর পরপরই ব্যবস্থা নেয় কমিশন।

এর আগে দেড় মাসে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে দুদকের আরও ছয় কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে দুদক। ১২০ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। সাবেক এই ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করবে বেল জানিয়েছে দুদক সূত্রটি।

এসব মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তাঁর দুই সহযোগী উৎপল ও আব্দুল আজিজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর ভিত্তিতেই অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক।