১০ লাখে মামলা রফাদফা করতে গিয়ে দুদকের উপসহকারী পরিচালক প্রত্যাহার
এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশনের অবস্থান জিরো টলারেন্স। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা যেকোনো অনিয়মের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছি।’
সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বাগেরহাট থেকে প্রত্যাহার করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, একটি মামলার বিষয়ে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম সোহেলের কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন আবুল হাশেম। পরে তা পাঁচ লাখ টাকায় রফাদফা করার প্রস্তাব দেন তিনি। বিষয়টি লিখিতভাবে দুদকে জানানোর পরপরই ব্যবস্থা নেয় কমিশন।
এর আগে দেড় মাসে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে দুদকের আরও ছয় কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে দুদক। ১২০ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। সাবেক এই ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করবে বেল জানিয়েছে দুদক সূত্রটি।
এসব মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তাঁর দুই সহযোগী উৎপল ও আব্দুল আজিজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর ভিত্তিতেই অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক।



























