ঢাকা , সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ ছাত্র অপহরণ, আটক ২ অপহরণকারী রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপির শ্রদ্ধা শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান, নিহত বেড়ে ৬২২ খুলনার রূপসা সেতুর নিচ থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার সংস্কার একটি জীবন্ত প্রক্রিয়া, যা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে : প্রধান বিচারপতি নেত্রকোনায় ১১ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন, সভাপতি আনোয়ারুল, সম্পাদক রফিকুল নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রবাসীর শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, পুলিশের অভিযানে মহিলাসহ আটক ৪ রাণীশংকৈলে মৃত্যুর এক বছর পর কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন। “বন্দরে পাওনা টাকা চাওয়া কাল হলো মারুফের” সহোদরকে কু/পিয়ে জ/খম

১২ মাসে সরকারের ১২ সাফল্য জানালেন প্রেস সচিব

সাংবাদিক

৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বতী সরকার। আগামীকাল শুক্রবার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই সময়ে নানা চড়াই-উৎরাই পার করা সরকার কী কী সফলতা পেয়েছে, তার একটি তালিকা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এই এক বছরে সরকারের অর্জিত ১২টি সেরা সাফল্যের কথা তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রেস সচিব। সেখানে আছে—জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহত বিপ্লবীদের সহায়তা, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, নির্বাচন পরিকল্পনা ও সংস্কারসহ আরও নয়টি সাফল্য।

শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা

জুলাই বিপ্লবের পর দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরেছে। যার ফলে নৈরাজ্য ও প্রতিশোধের চক্র বন্ধ হয়েছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নৈতিক নেতৃত্ব ছিল এই স্থিতিশীলতার মূল চালিকা শক্তি। যা জাতিকে সহিংসতা নয়; বরং পুনর্মিলন ও গণতন্ত্রের পথে পরিচালিত করেছে।

 

অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার

ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বড় ভূমিকা রেখেছে এই সরকার। খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় ১৪ শতাংশ থেকে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮ শতাংশে  নামিয়ে আনা হয়েছে (যা ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন), রেমিট্যান্সে রেকর্ড ৩০.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, রপ্তানি ৯ শতাংশ বৃদ্ধি, বহু বছর পর টাকার মান ডলারের বিপরীতে বেড়েছে এবং ব্যাংক খাত স্থিতিশীল হয়েছে।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অগ্রগতি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, দুর্বল সরকার এটি পারবে না। কিন্তু এই সরকার সেটি করে দেখিয়েছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ অর্জন (যেমন হানদা গ্রুপের ২৫ কোটি ডলারের টেক্সটাইল বিনিয়োগে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান), এবং আগের সরকারের চেয়ে দ্বিগুণ এফডিআই প্রবাহ। চীনা বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

গণতান্ত্রিক সংস্কার ও জুলাই সনদ

সংস্কার কমিশন গঠন, ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দলের মধ্যে জাতীয় ঐক্য তৈরি এবং ঐতিহাসিক জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা ও ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসা রোধে সুরক্ষা দিচ্ছে। জুলাই সনদ গণতন্ত্রের নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের স্বচ্ছ বিচার শুরু হয়েছে, যাতে দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত চারটি প্রধান বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার বিচারও শুরু হয়েছে।

নির্বাচন পরিকল্পনা ও সংস্কার

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রবাসী, নতুন ভোটার এবং নারীদের অন্তর্ভুক্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। নাগরিক মতামতের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু হচ্ছে। প্রায় ৮ লাখ পুলিশ, আনসার ও সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।

প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত সংস্কার

  • বিচার বিভাগ: সংস্কারমুখী নিয়োগের মাধ্যমে স্বাধীনতা নিশ্চিত।
  • পুলিশ: মানবাধিকার সেল, বডিক্যাম, স্বচ্ছ জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষ এবং জাতিসংঘ মানদণ্ডের প্রতিবাদ ব্যবস্থা।
  • আইন: দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধিতে ব্যাপক পরিবর্তন, গ্রেফতারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারকে জানানো বাধ্যতামূলক, আইনজীবী ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত, অনলাইন জিডি চালু।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট অধিকার

দমনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার, সমালোচনার স্বাধীনতা নিশ্চিত এবং ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

বৈদেশিক নীতি পরিবর্তন

একদেশভিত্তিক নির্ভরতা থেকে সরে এসে বহুমুখী বৈদেশিক নীতিতে রূপান্তর। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, চিকিৎসা সহায়তা ও সংকট ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বৃদ্ধি। সার্ক পুনরুজ্জীবন এবং আসিয়ান সদস্যপদ অর্জনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রবাসী ও শ্রমিক অধিকার

সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিসা পুনরায় চালু ও মালয়েশিয়ায় মাল্টিপল অ্যান্ট্রি ভিসা নিশ্চিত হয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চলে অনিবন্ধিত শ্রমিকদের বৈধকরণ, ১ লাখ তরুণকে জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা এবং ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও সার্বিয়াতে আরও শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

শহীদ ও আহত বিপ্লবীদের সহায়তা

জুলাই অভ্যুত্থানের সব শহীদ ও আহতদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ৭৭৫ শহীদ পরিবারের জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র ও ভাতা, এবং ১৩,৮০০ আহত বিপ্লবীদের জন্য ১৫৩ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সমুদ্র ও অবকাঠামো উন্নয়ন

বঙ্গোপসাগরকে জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করে ‘জলভিত্তিক অর্থনীতি’ গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দক্ষতা বৃদ্ধি (+২৫০ কনটেইনার/দিন), উপকূলীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, গভীর সমুদ্র মৎস্য ও শিল্প প্রকল্পে বৈশ্বিক অংশীদারদের নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৬:২৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
৫৩৫ Time View

১২ মাসে সরকারের ১২ সাফল্য জানালেন প্রেস সচিব

আপডেটের সময় : ০৬:২৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বতী সরকার। আগামীকাল শুক্রবার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই সময়ে নানা চড়াই-উৎরাই পার করা সরকার কী কী সফলতা পেয়েছে, তার একটি তালিকা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এই এক বছরে সরকারের অর্জিত ১২টি সেরা সাফল্যের কথা তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রেস সচিব। সেখানে আছে—জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহত বিপ্লবীদের সহায়তা, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, নির্বাচন পরিকল্পনা ও সংস্কারসহ আরও নয়টি সাফল্য।

শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা

জুলাই বিপ্লবের পর দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরেছে। যার ফলে নৈরাজ্য ও প্রতিশোধের চক্র বন্ধ হয়েছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নৈতিক নেতৃত্ব ছিল এই স্থিতিশীলতার মূল চালিকা শক্তি। যা জাতিকে সহিংসতা নয়; বরং পুনর্মিলন ও গণতন্ত্রের পথে পরিচালিত করেছে।

 

অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার

ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বড় ভূমিকা রেখেছে এই সরকার। খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় ১৪ শতাংশ থেকে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮ শতাংশে  নামিয়ে আনা হয়েছে (যা ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন), রেমিট্যান্সে রেকর্ড ৩০.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, রপ্তানি ৯ শতাংশ বৃদ্ধি, বহু বছর পর টাকার মান ডলারের বিপরীতে বেড়েছে এবং ব্যাংক খাত স্থিতিশীল হয়েছে।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অগ্রগতি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, দুর্বল সরকার এটি পারবে না। কিন্তু এই সরকার সেটি করে দেখিয়েছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ অর্জন (যেমন হানদা গ্রুপের ২৫ কোটি ডলারের টেক্সটাইল বিনিয়োগে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান), এবং আগের সরকারের চেয়ে দ্বিগুণ এফডিআই প্রবাহ। চীনা বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

গণতান্ত্রিক সংস্কার ও জুলাই সনদ

সংস্কার কমিশন গঠন, ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দলের মধ্যে জাতীয় ঐক্য তৈরি এবং ঐতিহাসিক জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা ও ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসা রোধে সুরক্ষা দিচ্ছে। জুলাই সনদ গণতন্ত্রের নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের স্বচ্ছ বিচার শুরু হয়েছে, যাতে দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত চারটি প্রধান বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার বিচারও শুরু হয়েছে।

নির্বাচন পরিকল্পনা ও সংস্কার

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রবাসী, নতুন ভোটার এবং নারীদের অন্তর্ভুক্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। নাগরিক মতামতের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু হচ্ছে। প্রায় ৮ লাখ পুলিশ, আনসার ও সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।

প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত সংস্কার

  • বিচার বিভাগ: সংস্কারমুখী নিয়োগের মাধ্যমে স্বাধীনতা নিশ্চিত।
  • পুলিশ: মানবাধিকার সেল, বডিক্যাম, স্বচ্ছ জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষ এবং জাতিসংঘ মানদণ্ডের প্রতিবাদ ব্যবস্থা।
  • আইন: দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধিতে ব্যাপক পরিবর্তন, গ্রেফতারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারকে জানানো বাধ্যতামূলক, আইনজীবী ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত, অনলাইন জিডি চালু।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট অধিকার

দমনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার, সমালোচনার স্বাধীনতা নিশ্চিত এবং ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

বৈদেশিক নীতি পরিবর্তন

একদেশভিত্তিক নির্ভরতা থেকে সরে এসে বহুমুখী বৈদেশিক নীতিতে রূপান্তর। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, চিকিৎসা সহায়তা ও সংকট ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বৃদ্ধি। সার্ক পুনরুজ্জীবন এবং আসিয়ান সদস্যপদ অর্জনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রবাসী ও শ্রমিক অধিকার

সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিসা পুনরায় চালু ও মালয়েশিয়ায় মাল্টিপল অ্যান্ট্রি ভিসা নিশ্চিত হয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চলে অনিবন্ধিত শ্রমিকদের বৈধকরণ, ১ লাখ তরুণকে জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা এবং ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও সার্বিয়াতে আরও শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

শহীদ ও আহত বিপ্লবীদের সহায়তা

জুলাই অভ্যুত্থানের সব শহীদ ও আহতদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ৭৭৫ শহীদ পরিবারের জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র ও ভাতা, এবং ১৩,৮০০ আহত বিপ্লবীদের জন্য ১৫৩ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সমুদ্র ও অবকাঠামো উন্নয়ন

বঙ্গোপসাগরকে জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করে ‘জলভিত্তিক অর্থনীতি’ গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দক্ষতা বৃদ্ধি (+২৫০ কনটেইনার/দিন), উপকূলীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, গভীর সমুদ্র মৎস্য ও শিল্প প্রকল্পে বৈশ্বিক অংশীদারদের নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।